রাস্তা মেরামতের দাবিতে এর আগেও একাধিক বার আন্দোলন হয়েছে। তবে হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। পিচের চাদর উঠে গিয়েছে বহু দিন। খানা-খন্দে ভরেছে রাস্তা। আর বর্ষায় সে রাস্তার অবস্থা আরও বেহাল। কান্দি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কের কুলি মোড় থেকে সাঁইথিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটারের হাল এমনই। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ সংযোগকারী এই রাস্তার দেখভাল হয় না প্রায় বছর দশেক। নিত্যযাত্রী ও ব্যবসায়ীরা জানালেন, বছর দশেক আগে একবার পিচের ওই রাস্তায় সংস্কারের কাজ হয়েছিল। তার পরে আর পূর্ত দফতরের তরফে কোনও উদ্যোগই চোখে পড়েনি। সম্প্রতি, পূর্ত দফতরের বীরভূমের শাখার তরফে ওই রাস্তার কলেশ্বর মোড় থেকে সাঁইথিয়া পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামত করার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের কুলি থেকে কলেশ্বর পর্যন্ত প্রায় তেরো কিলোমিটার রাস্তার ছবিটা বদলায়নি একটুও। ওই রাস্তায় প্রতিদিনই ৪৫টি যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করে। চলে প্রচুর পণ্যবাহী গাড়িও। ওই রুটের নিত্যযাত্রী পরিমল দাঁ বলেন, “রাস্তার যা অবস্থা, তাতে গাড়ি চলাও দুষ্কর। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। রীতিমত প্রাণ হাতে নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। বহু বার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তার পরেও কেন যে দুই জেলার যোগাযোগকারী রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে না তা জানি না।’’ কান্দি বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফুলু মিঞা বলেন, “ওই রাস্তায় বাস চালানো খুবই ঝুঁকির ব্যাপার। রাস্তাটি সারানোর দাবিতে ওই রুটে দু’সপ্তাহ সমস্ত বাস বন্ধ রেখে আমরা আন্দোলন করেছিলাম। সেই সময়ে প্রশাসনের তরফে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই আশ্বাসই। কাজের কাজ আর কিছুই এগোয়নি।” তাঁর আরও অভিযোগ, এ ভাবে যাত্রী সুরক্ষার তোয়াক্কা না করে আমাদের পক্ষে বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সময়মতো কর না দিলে জরিমানা হয়। রাস্তা মেরামত করার দাবিতেও আমাদেরই বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে হচ্ছে। প্রশাসন করছে টা কী?” পুর্ত দফতরের কান্দি মহকুমা আধিকারিক শ্যামল দাস বলেন, “রাস্তার অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ। আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত রাস্তাটি চলাচলের যোগ্য করে তোলা যায়। বর্ষার পরে রাস্তা মেরামত হবে।” ফের আশ্বাস পূর্ত দফতরের। কিন্তু কাজটা আদৌ হবে তো? |