রেল প্রকল্পে তাদের ‘শক্ত ঘাঁটি’ মুর্শিদাবাদকে ‘পরিকল্পিত ভাবে বঞ্চনা’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। জোট শরিকের এই অভিযোগের তির প্রকৃত পক্ষে তৃণমূলের দিকেই। কারণ, রেল মন্ত্রক রয়েছে তৃণমূলের হাতেই। সেই রেল নিয়েই আজ, সোমবার শিয়ালদহ স্টেশনে বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর ও তাঁর অনুগামীরা। সমাবেশে সামিল হওয়ার কথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য-সহ প্রদেশের শীর্ষ নেতাদের অনেকেরই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন করার পরে রেল-প্রশ্নেই প্রথম তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের রাস্তায় নামছে কংগ্রেস।
মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ করার ব্যাপারে রেল দফতর টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেছেন অধীর। বহরমপুরের সাংসদ রবিবার বলেন, “লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অনুমোদন পেয়েছিল নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্প। প্রকল্পটির শিলান্যাস হয়েছিল ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। এখন সমস্ত কাজ প্রায় শেষ। মাত্র এক কিলোমিটার রেল লাইন পাতার কাজ শেষ করা যাচ্ছে না, কারণ তৃণমূলের লোকেরা জমি অধিগ্রহণে বাধা দিচ্ছে।” অধীরদের আজকের কর্মসূচিকে অবশ্য রেলমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় কোনও ‘গুরুত্ব’ দিতে চাননি। এই বিষয়ে তিনি বিশদে মন্তব্য করতেও চাননি। তাঁর বক্তব্য,“পুরো বিষয়টি আগে দেখি। দেখা যাক, কী হয়!”
অধীরের আরও অভিযোগ, বহরমপুরে, বেলডাঙায় রেলের উড়ালপুল তৈরি-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ দিন ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। অধীর বলেন, “মুর্শিদাবাদের উন্নয়নের কাজে পরিকল্পিত ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” মুর্শিদাবাদে রেলের সমস্ত বকেয়া প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়ে আজ, বিক্ষোভ-সমাবেশের পাশাপাশি তাঁরা শিয়ালদহের ডিআরএমের কাছে দাবিপত্র জমা দেবেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অধীরের তোপ নতুন নয়। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদনের ব্যাপারে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়নি বলে এর আগে অধীর অভিযোগ তুলেছিলেন। পরে অবশ্য ওই মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন মিলেছে। সেই সময়ে তৃণমূল নেতৃত্ব পাল্টা কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “ওঁরা রাজনীতি করার জন্যই অযথা অভিযোগ করছেন।” |