অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভুল ঠিকানা থাকায় মুর্শিদাবাদে বিপাকে পড়লেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের (এমএসসি) বেশ কিছু পরীক্ষার্থী। মুর্শিদাবাদের হরেকনগর আবদুল মোমেন ইন্সটিটিউটে যাঁদের আসন পড়েছিল, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ডে ওই স্কুলের ঠিকানায় লেখা ছিল, স্কুলটি ময়া ডাকঘর এলাকার মধ্যে। ময়া ডাকঘর এই জেলায় রয়েছে একমাত্র লালগোলা ব্লকে। কিন্তু সেখানে ওই নামে কোনও স্কুল নেই। আসলে স্কুলটি বেলডাঙায়। সেখানে আবার ময়া নামে কোনও ডাকঘর নেই। ওই স্কুলটি হরেকনগর ডাকঘর এলাকার মধ্যে পড়ে। অনেক ছাত্রছাত্রী ময়া দেখে লালগোলা গিয়ে সমস্যায় পড়েন। শেষ পর্যন্ত প্রায় ৭২ কিলোমিটার দূরে বেলডাঙায় যেতে অনেক দেরি হয়। হরেকনগর আবদুল মোমেন ইন্সটিটিউটের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনারুল হক বলেন, “ঠিকানায় গণ্ডগোলের ফলে অনেক পরীক্ষার্থী পরে এসেছেন। আমরা অবশ্য তাঁদের পরীক্ষা দিতে দিয়েছি।”
অ্যাডমিট কার্ডে দেওয়া ঠিকানা নিয়ে ভোগান্তি হয়েছে আরও কিছু পরীক্ষার্থীর। জেলার দৌলতাবাদ থানার ছয়ঘরি গার্লস হাইমাদ্রাসায় একই সঙ্গে এসএসসি ও এমএসসির পরীক্ষার্থীদের আসন পড়েছিল। পরে এমএসসি কর্তৃপক্ষ কেন্দ্র পরিবর্তন করেন। ৪ কিমি দূরে দৌলতাবাদ এনবিএস হাইস্কুলে ওই কেন্দ্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশাসন এ দিন প্রচার চালিয়ে কিছু পরীক্ষার্থীকে নতুন কেন্দ্র সম্পর্কে সচেতন করতে পারলেও শেষ পর্যন্ত গোলমাল এড়ানো যায়নি। অনেকেরই দেরি হয়ে যায়। বহরমপুরের বিডিও কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল বলেন, “ছয়ঘরি গার্লস হাইমাদ্রাসার সামনে ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয়। সকাল ৭টা থেকে মাইকেও প্রচার চালানো হয়। হাইমাদ্রাসার সামনে দাঁড়িয়ে আমি কেন্দ্র বদলের কথা জানিয়েছি।” পরীক্ষার্থীদের হয়রানি রুখতে পথে নামেন ছয়ঘরি পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রধান। ছিল দৌলতাবাদ থানার পুলিশও। ছয়ঘরি পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের আবদুল হামিদ মণ্ডলের অভিযোগ, “স্কুল সার্ভিস ও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বোঝাপড়ার অভাবে ভুলের মাসুল দিতে হল ওই পরীক্ষার্থীদের। আমাদেরও ভোগান্তি হয়।” সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা সেলের জেলা আধিকারিক অশোক পাইক চৌধুরীও বলেন, “দুই কমিশনের সামান্য ভুলের খেসারত দিতে হল প্রশাসনকে। তড়িঘড়ি ব্যানার-ফেস্টুন তৈরি করতে হয়েছে। মাইকে প্রচারের জন্যও বাড়তি অর্থ লেগেছে।” তবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল রুফ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “অ্যাডমিট কার্ডে ঠিকানা ভুল ছিল। পরে কমিশনের ওয়েবসাইটে ও সংবাদপত্রে নোটিস দিয়ে তা শুধরে নেওয়া হয়।” হরেকনগর আব্দুল মোমেন ইন্সটিটিউটের পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিটে ভুলের প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, “এ নিয়েও আগে নোটিস দেওয়া হয়েছিল।”
এই দিন কান্দির গোকর্ণে প্রসন্নময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসির পরীক্ষার্থী রেহানা পারভিনকে চড় মারায় অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। |