|
|
|
|
পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্ব, নালিশ তৃণমূল প্রধানের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রশাসনিক পদক্ষেপে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শাসক তৃণমূলেরই এক প্রধান ও উপপ্রধান। এত দিন বিরোধী বামেরাই রাজ্যের নতুন সরকারের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টার অভিযোগ করছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-১ ব্লকের বাসুদেবপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান-উপপ্রধান সুজাতা সিংহ, কাজল সামন্তরাও একই রকম অভিযোগ তোলায় শোরগোল পড়েছে শাসক-শিবিরেই। প্রধান-উপপ্রধানের অভিযোগ, দাসপুর ১-এর বিডিও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা খর্ব করার এবং ‘হেনস্থা করা’র চেষ্টা করছেন। বিডিও অভিযোগ মানেননি।
দাসপুর ১-এর বিডিও রোশনী সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন বাসুদেবপুরের প্রধান-উপপ্রধান। জুলাইয়ের শুরুতে কয়েক জন ছাত্রকে পরিবারের উপার্জন-সংক্রান্ত শংসাপত্র দিতে সই করেছিলেন প্রধান। বিডিও’রও সই দরকার। কিন্তু সই না করে বিডিও সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিডিওরা এ ধরনের শংসাপত্র দেওয়ার আগে পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট বা পঞ্চায়েতের সচিবকে দিয়ে এমন তদন্ত করিয়েই থাকেন। বাসুদেবপুরের প্রধান-উপপ্রধানের দাবি, প্রধান সই করার পরেও তদন্তের নির্দেশ ‘অপমানজনক’, পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্ব করারই সামিল। এই নিয়ে বিডিও-র কাছে অভিযোগপত্র দেওয়ার পাশাপাশি জেলাশাসক, ঘাটালের মহকুমাশাসককেও জানান প্রধান-উপপ্রধান। বিডিও-র বিরুদ্ধে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হেনস্থারও অভিযোগ তোলা হয়। বিডিও অবশ্য জানিয়েছেন, সমস্যা নেই। তাঁর কথায়, “মাঝে ভুল বোঝাবুঝির জন্য একটা সমস্যা হয়েছিল। এখন তা মিটে গিয়েছে।” |
|
|
|
|
|