নিজস্ব সংবাদদাতা • বাউড়িয়া |
জমি নিয়ে ঝামেলায় গত দশ মাস ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে খাল সংস্কারের কাজ। ফলে নিকাশি বেহাল হয়ে পড়েছে। সমস্যা দেখা দিয়েছে সেচের কাজেও। কিন্তু জমি নিয়ে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত খাল সংস্কারের কাজ শুরু হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে উলুবেড়িয়া পুরসভা।
২০১১-র জুন মাসে সেচ দফতরের বাউড়িয়া-রাধানগর খালটির উলুবেড়িয়া পুরসভার তত্ত্বাবধানে সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাধানগর খালটি সংস্কারের অভাবে কার্যত নালায় পরিণত হয়েছিল। সেটির সংস্কার খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বহু আবেদন-নিবেদনের পরে অবশেষে সংস্কারের কাজ শুরু হয়।
অভিযোগ, সেচ দফতরের মাপজোপ করে খুঁটি পুঁতে সীমানা নির্ধারণ করে খাল কাটার কাজ শুরু করা উচিত ছিল। তা না করে ইচ্ছে মতো খালের যে দিকে পারছে কাটা হচ্ছে। এতে বহু লোকের জমি চলে যাচ্ছে। তাঁদেরই এক জন জমি নিয়ে সেচ দফতর, পুরসভা এবং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। ফলে তিন মাস কাজ চলার পর জমি-সংক্রান্ত ঝামেলায় খাল কাটার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এ দিকে, দু’কিলোমিটার দীর্ঘ রাধানগর খালটি রঘুদেব বাটি, বেলডুবি, সাহাপুর, খাস খামার, চক বেনে খা, রামেশ্বরনগর, রাধানগর হয়ে বাউড়িয়া ফোর্টগ্লস্টারের কাছে হুগলিতে মিশেছে। এই সমস্ত এলাকায় চাষের জলের সমস্যা যেমন দেখা দিয়েছে তেমনই নিকাশি বেহাল হয়ে পড়েছে।
তা ছাড়া, আগে রাধানগর খাল দিয়ে বড় বড় নৌকা চলত। ব্যবসায়ীরা এবং এলাকার বাসিন্দারা মালপত্র আনা-নেওয়া করত। কিন্তু খালটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে নালায় পরিণত হয়েছে। এলাকার জলপথে জিনিসপত্র আনা-নেওয়ার রাস্তাও পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুরজিৎ দাস বলেন, “উলুবেড়িয়া পুরসভার তত্ত্বাবধানে সেচ দফতরের ওই খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। সেচের ও নিকাশি সমস্যা সমাধানের জন্য এই খাল সংস্কার খুবই প্রয়োজন। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খালটি নালায় পরিণত হয়েছে। মেশিন দিয়ে খাল কাটায় দ্রুত কাজ এগোচ্ছিল। কিন্তু খাল সংস্কারের তিন মাস না হতেই জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়।” উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেবদাস ঘোষ বলেন, “এক ব্যক্তি অভিযোগ করায় খাল সংস্কারের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জমি-সংক্রান্ত ঝামেলা মিটে গেলে ফের সংস্কারের কাজ শুরু হবে।” |