হাতির পিছনে ধাওয়া করেছিল এক দঙ্গল লোক। পিছন ফিরে তাদেরই এক জনকে পিষে মারল হাতিটি।
রবিবার সকালে বারিকুল থানার কৃষ্ণনগর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। মৃত সুভাষ সোরেন (২১) ওই গ্রামেরই বাসিন্দা।
|
সুভাষ সোরেন। |
এই যুবক রাইপুর কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। পরে হাতিটি ওই এলাকার লেপাম গ্রামে হারাধন টুডু নামের এক বৃদ্ধকে আক্রমণ করে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা চলছে। বাঁকুড়া দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “লালগড়ের জঙ্গল থেকে ঢুকে পড়া একটি হাতি এ দিন ভোরে বারিকুল থানা এলাকায় হামলা চালিয়েছে। হাতিটিকে উত্যক্ত করার জন্যই এই কাণ্ড কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।” ডিএফও জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মৃত ও আহতের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবেন।
হাতিটিকে দেখে গ্রামবাসীরা তার পিছনে তাড়া করেন। ওই দলে ছিলেন সুভাষ-ও। বড়ডাঙ্গা গ্রামের রাস্তায় হাতিটি হঠাৎ পিছন ঘুরে তেড়ে আসে। অনেকে পালিয়ে বাঁচলেও, সুভাষ ভিজে রাস্তায় পা পিছলে পড়ে যান। সেই সময় হাতিটি তেড়ে এসে তাঁর দেহ শুঁড়ে পাকিয়ে আছাড় মারে। তারপর পা দিয়ে সুভাষের দেহ থেঁতলে দেয়। হাতিটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিছু দূরে লেপাম গ্রামে জমিতে চাষের কাজ করা হারাধনবাবু হাতিটির সামনে পড়ে যান। তাঁকেও হাতিটি শুঁড়ের ঝাপট মেরে ছিটকে ফেলে দেয়। জখম হারাধনবাবুকে প্রথমে ফুলকুসমা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরে রাইপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে হাতিটি খুঁটাবাঁধার জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।
মৃতের দাদা রামেশ্বরের আক্ষেপ, “গ্রামের অনেকেই হাতির পিছনে দৌড়চ্ছিল। কিন্তু সুভাষ হাতির কাছাকাছি চলে যাওয়াতেই কাল হল।” তাঁর কাকা মদনমোহনবাবু জানান, এত সকালে হাতি দেখে গ্রামে হইচই পড়ে যায়। তাঁর আক্ষেপ, “কমবয়েসী ছেলের দল হাতির পিছন পিছন দৌড়ছিল। এতেই বিপত্তি ঘটে।” |