ভিড় ফিরল অণ্ণার মঞ্চে, ‘ধীরে চলো’ নীতি কেন্দ্রের
প্তাহ শেষের ছুটিতে অণ্ণা হজারের আমরণ অনশন ফিরিয়ে আনল যন্তর মন্তরের পুরনো ভিড়। অনশন মঞ্চের সামনের রাস্তায় দুপুর থেকেই ভিড় উপচে পড়েছিল। সন্ধ্যায় আবার ইন্ডিয়া গেট থেকে আসা প্রতিবাদ মিছিল আরও ভিড় টেনে আনল যন্তর মন্তরে। বারবার গর্জন উঠল ‘অণ্ণা তুম সংঘর্ষ করো, হাম তুমহারে সাথ হ্যায়’।
সব মিলিয়ে জনলোকপাল বিল নিয়ে নতুন করে মনমোহন সিংহ সরকারের উপর চাপ তৈরি করলেন অণ্ণা হজারে। গত ২৫ জুলাই থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ তিন অণ্ণা-অনুগামী অনশনে বসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের ঘিরে তেমন ভিড় জমেনি। ইউপিএ সরকারও স্বস্তিতে ছিল। কিন্তু রবিবার অণ্ণা নিজে অনশনে বসতেই ছবিটা পাল্টে যায়। আজ অণ্ণার মঞ্চে যে পরিমাণ ভিড় জমেছে, তা যদি সারা সপ্তাহ বজায় থাকে, তা হলে সরকারের উপর আরও চাপ বাড়বে।
অণ্ণার শারীরিক অবস্থার অবনতিও সরকারের রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ হয়ে উঠতে পারে। গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে শুরু করে জনলোকপালের দাবিতে এই নিয়ে চতুর্থ বার আমরণ অনশনে বসলেন অণ্ণা। চুয়াত্তর বছরের বৃদ্ধ গাঁধীবাদী জানিয়ে দিয়েছেন, “জনলোকপাল না মেলা পর্যন্ত দেশের মানুষ আমাকে মরতে দেবেন না।”
সরকারি সূত্রের খবর, আপাতত ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়ে চলতে চায় কেন্দ্র। আগামী দু’একদিন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হবে। অণ্ণা ভিড় ধরে রাখতে পারছেন কি না বা অন্য শহরে আন্দোলনের ঢেউ লাগছে কি না, তা দেখতে চায় সরকার। তার পরে অণ্ণা-শিবিরের সঙ্গে দৌত্যের চেষ্টা শুরু হবে। গত বছরে অণ্ণার প্রতি জনসমর্থনের ধাক্কাতেই লোকপাল বিল নিয়ে উদ্যোগী হতে হয় মনমোহন সরকারকে। তবে ডিসেম্বরে মুম্বইতে অণ্ণার অনশন সফল হয়নি। আজ অণ্ণা-শিবিরকে বার্তা দিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ জানিয়েছেন, “বিক্ষোভ-আন্দোলন করে লোকপাল বিল পাশ করা যাবে না।” খুরশিদের যুক্তি, সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই লোকপাল বিল লোকসভায় পাশ করানো হয়েছিল। কিন্তু অণ্ণা হজারে ভুলে যাচ্ছেন যে ইউপিএ-র রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।
ইউপিএ সরকারের চিন্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বাড়িতে অণ্ণা-সমর্থকদের হামলা। গত কাল হঠাৎ জনা পঞ্চাশেক অণ্ণা-সমর্থক দিল্লির সাত নম্বর রেস কোর্স রোডে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। হাতে জাতীয় পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে রাস্তায় শুয়ে পড়েন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। আজ চেন্নাইতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অণ্ণার যুক্তি, “মানুষ হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।”
উল্টোদিকে অণ্ণা শিবিরের সামনে ভিড় ধরে রাখা ছাড়াও অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল বিজেপি-র থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। কারণ কংগ্রেস বোঝাতে চাইছে, অণ্ণা-রামদেবরা আসলে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের মদতপুষ্ট। আজও সেই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। কিন্তু অণ্ণা-শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলে যোগগুরু রামদেব আজ নরেন্দ্র মোদীকে দুর্নীতির বিষয়ে কার্যত শংসাপত্র দিয়েছেন।
আমদাবাদে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে রামদেব জানিয়েছেন, “সবাই আমাকে গুজরাতে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করে। কিন্তু গুজরাতে আমি কোনও দুর্নীতি দেখি না। ইউপিএ-র মন্ত্রীরা জেল খেটেছেন। মোদী দুর্নীতি করে থাকলে তিনিও জেলে থাকতেন।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.