সংবাদসংস্থা • আমদাবাদ ও নয়াদিল্লি |
শহিদ সিদ্দিকীর নেওয়া নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকার নিয়ে বিতর্কের রেশ কাটেনি এখনও। এ বার দলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে মোদীর প্রশংসা করলেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সাংসদ বিজয় দারদা। পরে অবশ্য বিবৃতি দিয়ে বিতর্ক থামাতে চেয়েছেন তিনি।
আজ একটি অনুষ্ঠানে মোদীর সঙ্গে হাজির ছিলেন দারদা। তিনি বলেন, মোদী গুজরাতের বাঘ। কাজে তাঁর উৎসাহ ও নিষ্ঠার সঙ্গে একমাত্র বাঘের তুলনাই করা যেতে পারে। মোদীর কটাক্ষ, এই মন্তব্যের জন্য দারদা বিপদে পড়তে পারেন। হয়তো আগামী কালই তাঁকে শো-কজ নোটিস দেওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হবে।
দারদার মন্তব্যে প্রত্যাশিত ভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু, তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাননি দলীয় নেতৃত্ব। কংগ্রেস নেতা জনার্দন দ্বিবেদি জানিয়েছেন, আগে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতার কাছ থেকে সব তথ্য জানা হবে। তার পর দারদার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দল। মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের দায়িত্বে রয়েছেন প্রবীণ নেতা মোহন প্রকাশ। |
আমদাবাদের অনুষ্ঠানে বিজয় দারদার সঙ্গে মোদী। ছবি: পি টি আই |
পরে নিজের মন্তব্য লঘু করতে চেয়েছেন দারদা। তাঁর বক্তব্য, মোদী বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চাপ দিয়ে যে কোনও কাজ করাতে পারেন। তাই তাঁকে বাঘ বলেছিলেন তিনি। দাদরার দাবি, গুজরাতে গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার সময়ে মানবতাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
মোদীর সাক্ষাৎকার নিয়ে সমাজবাদী পার্টিতে অচ্ছুত হয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ শাহিদ সিদ্দিকী। সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদব জানিয়ে দেন, সিদ্দিকীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁদের কোনও যোগ নেই। আজ সরাসরি সমাজবাদী নেতৃত্বকে আক্রমণ করেছেন সিদ্দিকী। তাঁর দাবি, ৬ জানুয়ারি তাঁকে পার্টির মুখপাত্র হিসেবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন খোদ মুলায়ম সিংহ যাদব। এখন দলীয় নেতৃত্ব তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা বলছেন। সিদ্দিকীর পাল্টা আক্রমণ, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কল্যাণ সিংহ ও সাক্ষী মহারাজ। তাঁদের সঙ্গে মুলায়ম সিংহ হাত মিলিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “কোনও রাজনৈতিক দলে স্বাধীন চিন্তার অবকাশ আর নেই।” |