অন্য বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা পরিবহণ ধর্মঘট ঘোষণা ডেকে দেওয়ায় ফ্রন্টের অন্দরে গত কালই ক্ষোভ জানিয়েছিল আরএসপি-সিপিআই। সিটুর ধর্মঘট ডাকার ‘পদ্ধতি’ নিয়েই আপত্তি ছিল তাদের। এ দিন নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে আলোচনায় বসেন দু’দলের শ্রমিক নেতৃত্ব। বৈঠকের পর ইউটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, “সিটুর তরফে জোর করে চাপানো এই ধর্মঘটে আমরা নেই।” যে দাবির ভিত্তিতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, সেগুলি সমর্থন করেও অশোকবাবু বলেন, “ধর্মঘট জোর করে চাপানো যায় না। আবার বলপূর্বক ভাঙাও যায় না। তাই ওই ধর্মঘটের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাচ্ছে না। আবার বিরোধিতাও করা যাচ্ছে না।” একই বক্তব্য সিপিআই-এমএল লিবারেশনের শ্রমিক সংগঠনেরও। যে ভাবে সিটু একতরফা ধর্মঘট ডেকেছে, তা রাজ্যের বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ‘ঐক্যের পরিপন্থী’ বলে অশোকবাবু মন্তব্য করেন। কলকাতায় সরকারি পরিবহণ কর্মীদের মধ্যে কম-বেশি প্রভাব আছে সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি-র। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রণজিৎ গুহ বলেন, “একতরফা ভাবে ডাকা ওই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করছি না। তবে তা ব্যর্থ করার ডাকও দিচ্ছি না।” ধর্মঘট ব্যর্থ করার আহ্বান জানাল এসইউসি-র শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি। তাদের রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “সিপিএমের শাসনকালে সিটু সর্বদা বাস ও পরিবহণ মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। এখনও তারা মালিকদের স্বার্থে ধর্মঘট ডেকেছে। তাই ধর্মঘটের বিরোধিতা করতে হবে।”
|
দুই জেলায় দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৪ জনের। শনিবার সকালে চাকদহের সুটুয়ায় ভিড়ে ঠাসা বাজারে ইলিশ মাছ বোঝাই একটি ম্যাটাডর ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তিন জনের। ভ্যানটি প্রথমে ধাক্কা মারে সাইকেলে টালমাটাল ধনাই বিশ্বাসকে (৫০)। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এরপরেই ভ্যানটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা অর্জুন বিশ্বাস (৫৮) ও রাজু পালকে (১০) পিষে দেয়। আহতদের প্রথমে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁদের স্থানান্তর করা হয় কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে। বিকেলে সেখানে মারা যান অর্জুনবাবু ও রাজু। পুলিশ জানায়, ভ্যানটি আটক করা হলেও চালক ও খালাসি পলাতক। জেলা পুলিশ জানিয়েছে বনগাঁ সীমান্ত থেকে মাছ নিয়ে চাকদহের দিকে যাচ্ছিল ভ্যানটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। অন্য দিকে এ দিনই উলুবেড়িয়ার জেলেপাড়ার কাছে মুম্বই রোডে পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন আরও এক জন। পুলিশ জানিয়েছে মৃত বিশ্বনাথ পাল (৬০) উলুবেড়িয়ার ফুলেশ্বরের বাসিন্দা। তাঁকে ধাক্কা মারার পর গাড়িটি উল্টে যাওয়ায় চালক-সহ গাড়ির তিনজন আরোহী আহত হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হাওড়ার দিক থেকে দ্রুত গতিতে গাড়িটি এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিশ্বনাথবাবুকে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্বনাথবাবুকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। চালক এবং গাড়ির তিন জন আরোহীকেও উলুবেড়িয়া মহকুমা হাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চালক এবং একজন আরোহীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি দু’জনকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করানো হয়। |