নয়া স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে এমসিএক্স আগামী অক্টোবরেই কাজ শুরু করবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ-এর পর এটিই হবে তৃতীয় সর্বভারতীয় শেয়ার বাজার। সম্প্রতি এমসিএক্স স্টক এক্সচেঞ্জ চালু করার জন্য মিলেছে সেবি-র অনুমোদন।
নতুন ওই শেয়ার বাজারে বন্ডও লেনদেন হবে। বিদেশি মুদ্রার আগাম লেনদেনও করা যাবে। বিদেশি মুদ্রার আগাম লেনদেন ‘কারেন্সি ফিউচার’ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। শেয়ার ও বন্ড লেনদেন শুরুর আগেই এমসিএক্স স্টক এক্সচেঞ্জে বিদেশি মুদ্রার আর এক ধরনের আগাম লেনদেন ‘কারেন্সি অপশন’ শুরু করার পরিকল্পনাও রয়েছে কর্তৃপক্ষের। এ ব্যাপারে সেবি-র অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
দেশের অগ্রণী কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হিসাবে এত দিন এমসিএক্সে শুধু পণ্য লেনদেন করা হত। শেয়ার, বন্ড ও বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের জন্য কর্তৃপক্ষ ২০০৮-এ খাতায়-কলমে এমসিএক্স স্টক এক্সচেঞ্জ-এর সূচনা করেন। কিন্তু নানা আইনি ঝামেলায় নতুন ওই এক্সচেঞ্জে শেয়ার, বন্ড বা বিদেশি মুদ্রার আগাম লেনদেন ‘কারেন্সি অপশন’ এত দিন চালু করা সম্ভব হয়নি।
শেয়ার কেনাবেচার জন্য ব্রোকার নথিভুক্তির কাজ মাস দেড়েকের মধ্যেই শুরু হবে। স্টক এক্সচেঞ্জের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরিন্দম সাহা বলেন, “শীঘ্রই শেয়ার লেনদেনের জন্য ব্রোকার নথিভুক্তি শুরু করব। তবে সারা দেশে এমসিএক্সের মাধ্যমে পণ্য লেনদেনের জন্য প্রায় ৪ লক্ষ ‘টার্মিনাল’ রয়েছে। আছেন বহু ব্রোকার। এই পরিকাঠামোও কাজে লাগানো হবে।” স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার হিসাবে রয়েছে ২৩টি সংস্থা। এর মধ্যে ১৮টিই ব্যাঙ্ক। এ ছাড়া রয়েছে ফিনান্সিয়াল টেকনোলজিস, আইএফসিআই, আইএল অ্যান্ড এফএস ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, এমসিএক্স স্টক এক্সচেঞ্জ এসপ ট্রাস্ট এবং মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অফ ইন্ডিয়া। |