জোর করে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগ উঠল কয়েক জন এনভিএফ কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে কল্যাণীর জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের ভিজিটিং আওয়ার্সের তোয়াক্কা না করেই কয়েক জন রোগীর আত্মীয় জোর করে ঢুকতে চান বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে রোগীর ওই আত্মীয়দের সঙ্গে বচসা বাধে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের। হাসপাতালের তরফে আরও অভিযোগ, এ দিন সেই সময়ে কয়েক জন এনভিএফকর্মীও হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা শুরু করেন। এনভিএফ-এর কল্যাণীর প্লাটুন কমান্ডার দর্পণ মণ্ডলের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের কর্মীদের মারধর করে। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেও হাসপাতালের মহিলা বিভাগে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন ওই এনভিএফকর্মীরা। বচসা বাধে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে। সেই সময়ে পুলিশের কাছে হাসপাতালের তরফে ওই এনভিএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনের ঘটনায় কয়েক জন এনভিএফ কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞসাবাদ করা হয়েছে। এনভিএফের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদের হামলায় সাত জন কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনার পরে এ দিন দুপুরে পুলিশি নিরাপত্তার দাবিতে কল্যাণী এনভিএফ ক্যাম্পে অনশন শুরু করেন কর্মীরা। পরে অবশ্য অনশন উঠে যায়।
|
শহরে এল ‘রেড রিবন এক্সপ্রেস’। শুক্রবার, শিয়ালদহ স্টেশনে। —নিজস্ব চিত্র |
রঙিন আঁকিবুঁকি কাটা ট্রেনের প্রতিটি কামরার বাইরে বড় বড় হরফে লেখা ‘জিন্দেগি জিন্দাবাদ’, জীবন দীর্ঘজীবী হোক। ভিতরে বাতানুকূল ছ’টি কামরায় এইচআইভি-সচেতনতা নিয়ে চলছে প্রদর্শনী। ‘ন্যাশনাল এডস্ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ (ন্যাকো)-এর উদ্যোগে সারা ভারত ঘুরছে ‘রেড রিবন এক্সপ্রেস’-এর এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী। শুক্রবার দুপুরে মাঝেরহাট থেকে ট্রেনটি এসেছে শিয়ালদহ স্টেশনে। থাকবে আগামী দু’দিন। ট্রেনটিকে স্বাগত জানাতে এ দিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কলকাতার পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এবং পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। বিভিন্ন জেলা ঘুরে রেড রিবন এক্সপ্রেস রাজ্য ছাড়বে আগামী ৮ অগস্ট। ২০০৭ থেকে চালু হয়ে এই নিয়ে তিন বার রাজ্যে রেড রিবন এক্সপ্রেস এল। প্রদর্শনী দেখতে এ দিন হাজির ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় আড়াইশো ছাত্রছাত্রী।
|
ডেবরায় আন্ত্রিক পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। যে এলাকায় আন্ত্রিক ছড়িয়েছিল, সেই এলাকার জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। দু’জন রোগীর মলও পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল। এক জনের ক্ষেত্রে পজিটিভ রিপোর্ট মিলেছে। অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট এলাকায় ডায়েরিয়া ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতি রয়েছে। এই রিপোর্ট হাতে পেয়েই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুকুরঘাটগুলিতে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়েছে। ডেবরার বিএমওএইচ রজত পাল বলেন, “এ কাজ এখন চলবে। সতর্কতার জন্য সব রকম পদক্ষেপই করা হচ্ছে।” কয়েক দিন আগে ডেবরার শালডহরি, কুচলি ও বাড়ঝিকুরিয়া-তিনটি গ্রামে আন্ত্রিকের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রায় ৮০ জন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল।
|
ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে জামুড়িয়ার তালডাঙা চিচুরবিল লোধা এলাকায়। আসানসোল মহকুমা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানান, জামুড়িয়া ছাড়াও বারাবনির কেলেজোড়া, পিঠকেয়ারি এবং সালানপুরের ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। শুক্রবার পর্যন্ত এই সব এলাকার প্রায় ৭০ জন ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আসানসোল মহকুমা স্বাস্থ্য অধিকর্তা অরিতা সেন চট্টরাজ জানান, প্রতিটি জায়গায় এলাকাবাসীরা কুয়োর জলই ব্যবহার করে। বর্ষায় নোংরা জল তাতে মিশতেই এই বিপত্তি। প্রতিটি জায়গায় পঞ্চায়েতের সাহায্য নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা জলাশায়গুলিতে ব্লিচিং পাউডার ছড়াচ্ছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওষুধপত্র দিচ্ছেন ও সেই সঙ্গে জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।
|
‘অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়ন’-এর মেদিনীপুর আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে রক্তদান শিবির হল শুক্রবার। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কেই এই শিবিরে ৬২ জন রক্ত দিয়েছেন। উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায়। ছিলেন হাসপাতালের সুপার যুগল কর। |