দাদনের টাকা নিয়ে রাজস্থানে কাজে না যাওয়ায় এক দিনমজুরের নাক কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক দিনমজুর সরবরাহকারী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার ভগবানপুর মোড়ের ঘটনা। জখম আমিরুল হোসেনকে প্রথমে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। দুষ্কৃতীদের হাঁসুয়ার কোপে নাক কেটে ঝুলছিল। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা ২০টি সেলাই দিয়ে নাকটি মুখের সঙ্গে জুড়ে দেন। আমিরুলকে পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে ওই দিনমজুরের নাক কাটার অভিযোগ উঠেছে তাঁরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বৈষ্ণবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আমিরুলের স্ত্রী। |
মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “দৃষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে। গ্রামে পুলিশ গিয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈষ্ণবনগরের ভগবানপুর পঞ্চায়েতের আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজস্থানে দিনমজুরির কাজে যাওয়ার জন্য স্থানীয় এত দিনমজুর সরবরাহকারীর কাছ থেকে ২০০০ টাকা দাদন নেন। কিন্তু টাকা নিয়েও তিনি রাজস্থানে যাননি। গ্রামের বাকিরা সোমবার রাজস্থান রওনা দেন। দিনমজুর সরবরাহকারী বিলাত শেখ আমিরুল হোসেনকে দাদনের টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেন। বুধবার রাতে রথবাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভগবানপুর মোড়ের কাছে ওই দিনমজুর সরবরাহকারী ও তার তিন সঙ্গী আমিরুলকে তুলে নিয়ে যায়। এর পরে ওই দিনমজুর সরবরাহকারী হাঁসুয়া দিয়ে আমিরুলের নাক কেটে দেন বলে অভিযোগ। রাস্তায় পড়ে ছটপট করতে দেখে বাসিন্দারা আমিরুলকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করান। আমিরুলের স্ত্রী ফতেমা বিবি বলেন, “আমার স্বামী বিলাত সেখের কাছ থেকে ২০০০ টাকা দাদন নিয়েছিল। রাজস্থানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু সোমবার আমার কন্যা সন্তান হওয়ায় ও কাজে যেতে পারেনি। কন্যা সন্তান হওয়ার সময় ওই দাদনের টাকা আমার স্বামী খরচ করে ফেলেছেন। কিন্তু বিলাত সেখ সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমার স্বামী তাঁকে বলেছিল, আমি খেটে দাদনের টাকা শোধ করে দেব। কিন্তু ও কোন কথা শোনেনি। তাঁর অভিযোগ, “কাল রাতে বিলাত শেখ ও তাঁর তিন শাগরেদ স্বামীকে তুলে নিয়ে হাঁসুয়া দিয়ে নাক কেটে দিয়েছে।” |