পরীক্ষা হলে ঢোকার মুখে রাস্তা আটকে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে জঙ্গিপুর কলেজে। এর পরে সকলের সামনেই পা থেকে জুতো খুলে ওই ছাত্রী মারতে শুরু করেন ওই ছাত্র ও তার বন্ধুবান্ধবদের। এর পরেও তাঁকে পাল্টা হুমকি দেওয়া হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রী সাগরদিঘি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অভিযুক্ত ছাত্র ধুলিয়ানের একটি কলেজে পড়ে। জঙ্গিপুর কলেজে ওই দুই কলেজেরই প্রথম বর্ষের পরীক্ষার সিট পড়েছিল। বৃহস্পতিবার ছিল বাংলা পরীক্ষা। জঙ্গিপুর কলেজের অধ্যক্ষ আবু এল শুকরানা মণ্ডল বলেন, “পরীক্ষা দিতে ঢোকার সময়ে ওই ছাত্র মেয়েটির গায়ে হাত দেয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে ছাত্রীটিও জুতো খুলে মারধর করে। পুলিশের কাছে মেয়েটির পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্র ও তার বন্ধুরা মেয়েটিকে এর পরেও হুমকি দেয় বলে মেয়েটির অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে পরীক্ষা শেষে ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে আমার কাছে ওই মেয়েটির তরফে কোনও অভিযোগ আসেনি।” তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের ঘটনা কলেজের সুস্থ পরিবেশকে নষ্ট করছে। ভবিষ্যতে এরকম যাতে আর কখনও না ঘটে সে দিকে নজর দেওয়া হবে।”
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, “পরীক্ষা দিতে ঢোকার সময়ে ওই ছেলেটি আমার গায়ে হাত দেয়। আমি পাশে সরে যাই। তবে ও ফের আমার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। কলেজের সকলেই ওখানে ছিল। বাধ্য হয়ে চটি খুলে ছেলেটিকে মারি। তবে এত কিছুর পরেও ছেলেটি ওর বন্ধুদের নিয়ে আমাকে মারধরের হুমকি দেয়। বাড়িতে ফোন করে জানাই।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজে গিয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক নিরাপত্তাকর্মীই ছেলেটিকে চিনিয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের বাড়ি ধুলিয়ানের কাঁকুড়িয়ায়। |