মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়
স্কুলে জমছে নর্দমার জল, ক্লাস বয়কট কচিকাঁচাদের
স্কুল না নর্দমা?
চোখে দেখে অবশ্য তফাতটা বোঝার উপায় নেই। স্কুল প্রাঙ্গণে জমে রয়েছে নোংরা জল। দুর্গন্ধে ঘেঁষা যাচ্ছে না স্কুলের ধারে কাছেও। দিনে দুপুরেও ভিনভিন করছে মশা। কিন্তু স্কুলের এই হাল দেখতে আসছে কে?
মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ভাবেই চলছে খুদেদের লেখাপড়া। রোজ জামা-কাপড় গুটিয়ে নোংরা জল পেরিয়ে স্কুলে আসছে তারা। জমে থাকা নোংরা জল আর আবর্জনার দুর্গন্ধে টেঁকা দায় স্কুলে। নাকে রুমাল গুঁজে চলছে স্কুলের পঠনপাঠন।
বুধবার অবশ্য আর প্যান্ট গুটিয়ে স্কুলে ঢোকেনি কচিকাঁচার দল। বাইরে থেকেই ফিরে গিয়েছে বাড়িতে। স্কুল প্রাঙ্গণ পরিষ্কারের দাবিতে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে বুধবার স্কুলের সামনে প্রতিবাদ জানায়।
ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা জানালেন, “ছেলেমেয়েদের এই প্রতিবাদকে আমরা সমর্থন করছি। বার বার বলার পরেও গত দেড় মাসে এই নোংরা জল পরিষ্কার হয়নি। কোনও উদ্যোগই নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ।”
দেখভাল নেই স্কুলের। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের এই স্কুলে শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন। পড়ুয়া সংখ্যা ১৩৩। চতুর্থ শ্রেণির বিশ্বজিৎ মাঝির অভিযোগ, “স্কুলের মাঠ জলে ভরে রয়েছে। বৃষ্টি হলে মাঠ উপচে বারান্দায় ঢুকে পড়ছে জল। নোংরা জল পেরিয়েই স্কুলে আসছি। পায়ে চুলকুনি হচ্ছে।” তৃতীয় শ্রেণির কৌশিক মাঝি বলল, “মেঝেতে বসে পড়া যায় না। মশার কামড়ে সারা গা চুলকোচ্ছে। ফুলে উঠছে।”
অভিভাবকদের অভিযোগ, পরিচ্ছন্নতা দূরের কথা, এ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই রান্না হচ্ছে মিড-ডে মিল। কাছেপিঠে কোনও নলকূপও নেই। সব খারাপ হয়ে পড়ে আছে। পুকুরের জলে রান্না খাবারই দিনের পর দিন খাচ্ছে ছেলে মেয়েরা।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক চণ্ডী রায় ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধার কথা স্বীকার করে বলেন, “স্কুলের জমি থেকে অনেক উঁচু স্কুল সংলগ্ন নিকাশি নালা ও রাস্তা। নিকাশির জল জমে দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে। তবে মিড ডে মিলের রান্নার জল দূরের নলকূপ থেকেই টেনে আনেন রাঁধুনিরা। পঞ্চায়েত ও বিডিওকে এই সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।” জাজুয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের শঙ্কর দাস বলেন, “জমা জলে ওই স্কুলের পরিস্থিতি সত্যিই খুব খারাপ। একশো দিনের কর্মনিশ্চিত প্রকল্পে মাটি কেটে এনে ওই স্কুলটি উঁচু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্র স্কুলের সমস্যা মেটানো হবে।”
ঘোষণা। আইটি হাব ও ফুড পার্ক তৈরির জন্য কৃষ্ণনগরে ঘুরে গেলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরী। তিনি জানান, আইটি হাবের জন্য ২০০ কোটি টাকা ও ফুড পার্কের জন্য ১৫০ কোটি টাকা বিনোয়োগ হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.