|
|
|
|
লাঠিচার্জে ক্ষোভ |
ট্রান্সফর্মার বদলের দাবিতে অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
তিন সপ্তাহ ধরে বিকল হয়ে রয়েছে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার। বিদ্যুৎহীন বিস্তীর্ণ এলাকা। ট্রান্সফর্মার বদলের দাবিতে বৃহস্পতিবার এগরা থানা এলাকার তাজপুরে এগরা-কাঁথি রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। সেই অবরোধ হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের ভূমিকায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তাতে বিড়ম্বনা বেড়েছে শাসক তৃণমূলের। দলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা-পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেনের মন্তব্য, “অবরোধ আমরা সমর্থন করি না। পুলিশের লাঠি চালানোও উচিত হয়নি।”
ট্রান্সফর্মার বদলের দাবিতে স্থানীয় তাজপুর, মল্লিকপুর, দাউদপুর, উর্ধ্ববপুর গ্রামের বাসিন্দারা ত্রিস্তর পঞ্চায়েত, প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দফতরে অনেক দিন ধরেই আবেদন করছিলেন। কিন্তু ফল না হওয়ায় সোমবার তাঁরা তাজপুরে অবরোধ করেন। এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের প্রকাশ রায়চৌধুরী জানান, ওই দিন বিদ্যুৎ দফতর বুধবারের মধ্যে ট্রান্সফর্মার বদলের আশ্বাস দেয়। তা না হওয়ায় বুধবার পঞ্চায়েত সমিতিতেও গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। আর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুই মেদিনীপুরের সংযোগকারী রাস্তায় অবরোধ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ এলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। বারোটা নাগাদ পুলিশ লাঠি চালায়। একই দাবিতে এ দিন এগরার পানিপারুলে এগরা-দিঘা রাস্তা ঘণ্টা দু’য়েক অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ। সেখানেও অবরোধ তোলে পুলিশ।
অবরোধের জেরে এ দিনই অবশ্য তাজপুরে নতুন ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কেন মাঝেমধ্যেই বিকল হচ্ছে ট্রান্সফর্মার? পাল্টাতে দেরিরই বা কারণ কী? জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায় ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (কাঁথি) কল্যাণ মাইতির বক্তব্য, “অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সংযোগ ও হুকিংয়ের জন্য জেলায় ট্রান্সফর্মার বিকলের সমস্যা বেড়েছে। সেই তুলনায় ট্রান্সফর্মারের যোগান অনেক কম। তাই সময়মতো ট্রান্সফর্মার বদল করা যাচ্ছে না। স্থানীয় মানুষকেই হুকিংয়ের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।” |
|
|
|
|
|