|
|
|
|
তৃণমূলের ‘চাপ’ |
পাকুড়সিনির পঞ্চায়েত সদস্যদের গণ-পদত্যাগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রধান, উপপ্রধান-সহ সিপিএমের সব নির্বাচিত সদস্যের পদত্যাগের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে নারায়ণগড়ের পাকুড়সিনি পঞ্চায়েতে। ঠিক কী কারণে পঞ্চায়েত সদস্যদের এই পদক্ষেপ, তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। সিপিএম সূত্রের খবর, প্রধান, উপপ্রধান-সহ পঞ্চায়েত সদস্যদের ‘অনৈতিক’ কাজ করতে বাধ্য করছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতেই সবাই পদত্যাগ করেছেন। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি সূর্য অট্ট বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। পঞ্চায়েত সদস্যরা স্বেচ্ছায়
পদত্যাগ করেছেন।”
নায়ারণগড় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের নির্বাচনী এলাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরের এই এলাকা বছর দেড়েক আগেও ‘লালদুর্গ’ হিসেবেই পরিচিত ছিল। নারায়ণগড় ব্লকে মোট ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত। ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৫টিতেই জয়ী হয়েছিল সিপিএম। কুশবাসান পঞ্চায়েতটিই কেবল তৃণমূলের দখলে। রাজ্যে পালাবদলের পর অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টেছে। অনাস্থা এনে কুনারপুর, গ্রামরাজ-সহ ৬টি পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে তৃণমূল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি পাকুড়সিনির প্রধান রঞ্জিত দোলুই, উপপ্রধান বীরেন্দ্র পাত্র-সহ সিপিএমের সব নির্বাচিত সদস্য বিডিও কল্যাণ দাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। করেছেন।
হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? পদত্যাগী প্রধান রঞ্জিত দোলুই বলেন, “ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করছি বলেই বিডিওকে জানিয়েছি। তবে আরও কিছু কারণ রয়েছে। এ নিয়ে এখনই কিছু বলব না।” সম্প্রতি সিপিএমের জেলাস্তরে পঞ্চায়েত পরিচালনা নিয়ে সমস্যার প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে। চাপে পড়ে বা অন্য কোনও কারণে দলের একাংশ পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেনএই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব কড়া ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতেই পাকুড়সিনির ঘটনা আলোচিত হচ্ছে। দলের কাছে বদনামের ভাগিদার হতে না চেয়ে তৃণমূলের ‘চাপে’র মুখে সিপিএম-সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সিপিএম সদস্যদের পদত্যাগের প্রেক্ষিতে এই পঞ্চায়েতে প্রশাসক নিয়োগের দাবি তুলেছে তৃণমূল। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরীর বক্তব্য, “পদত্যাগের বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে
জানানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|