ফের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলল কলেজে। এ বার জঙ্গিপুর কলেজ। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে সব ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তি নেওয়ার দাবি তুলে কলেজে চড়াও হয় ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা। বেলা ৩টে পর্যন্ত চলে ভাঙচুর। তার পর অধ্যক্ষ আবু এল শুকরানা মণ্ডলকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। যদিও ছাত্র পরিষদের তরফে ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। অধ্যক্ষ বলেন, “মঙ্গলবার সকলকে ভর্তি নেওয়ার দাবিতে ছাত্র পরিষদের তরফে আমার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। বুধবার একই দাবিতে এসএফআই-ও স্মরকলিপি দেয়। বাম ছাত্র সংগঠনের স্মারকলিপি গ্রহণ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদ। নোটিস বোর্ড, কলেজের আসবাব ভাঙচুর করে। ওদের দাবি কলেজে সব ছাত্রকেই স্নাতক স্তরে ভর্তি নিতে হবে। |
এর পরে ওরা আমাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।” তিনি বলেন, “কলেজের নিয়মের বাইরে বেরিয়ে আমি ছাত্র ভর্তি নিতে পারব না। এ কথা আমি দুই সংগঠনেই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি। ৩১ জুলাই কলেজে পরিচালন সমিতির একটি সভা ডেকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও ওদের জানিয়েছিলাম। তার পরেও এই ভাঙচুরের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্র পরিষদের জঙ্গিপুর ব্লক সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “বুধবার আমাদের কোনও কর্মী কলেজে ভাঙচুর চালায়নি। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির দাবি নিয়ে কলেজে যাই। এখনও কয়েকশো ছাত্র-ছাত্রী কলেজে ভর্তি হতে পারেননি। শিক্ষার সুযোগ কমে যাওয়ার প্রতিবাদেই আমরা স্মারকলিপি দিই।” এসএফআই-এর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস রায় বলেন, “ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হতে পারেননি। সরকার ভর্তি বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করুক।” |