টুকরো খবর
মাছ মরছে, অভিযোগ উদাসীনতার
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সবচেয়ে বড় সরকারি মৎস্য উৎপাদন ও পালন কেন্দ্র সাগরদিঘিতে মাছের মড়ক শুরু হয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে সাগরদিঘিতে ব্যাপক হারে মাছ মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, ইতিমধ্যে ২৫-৩০ কুইন্টাল মাছ মারা গিয়েছে। খবর পেয়ে বুধবার রাজ্যের মৎস্য দফতরের উপ অধিকর্তা সিদ্ধার্থ সরকার সাগরদিঘিতে ছুটে যান। উপ অধিকর্তা বলেন, “কয়েকদিনে কত মাছ মারা গিয়েছে তা বলতে পারব না। তবে আমি এখানে এসে ৫০ কেজি মাছ মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি।” মাছের মড়কের সম্ভাব্য কারণ জানিয়ে উপ অধিকর্তা বলেন, “অনাবৃষ্টির জন্য সাগরদিঘির জলের স্তর গড়ে ৫-৬ ফুট নেমে গিয়েছিল। পরিষ্কার না হওয়ায় সাগরদিঘির বেশির ভাগ ট্যাঙ্ক পদ্মপাতার জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। ট্যাঙ্কের নীচে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হচ্ছে। মনে হচ্ছে ওই বিষাক্ত গ্যাসে মাছ মারা যাচ্ছে। সাগরদিঘি ফার্মের ম্যানেজারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। তিনি রিপোর্ট দিয়েছেন। মড়ক বন্ধ না-হলে মরা মাছের নমুনা পৈলান বা কল্যাণীতে মৎস্য গবেষণাগারে পাঠানো হবে। সাগরদিঘি ফার্মের ম্যানেজার রজত চক্রবর্তী বলেন, “জলের তলায় বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। মাছের মৃত্যু রুখতে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” সাগরদিঘিতে ৮০ হেক্টর জলাশয়ে রাজ্যের সবচেয়ে বড় সরকারি মৎস্য উৎপাদন ও পালন কেন্দ্রে রুই, কাতলা, মৃগেল ও আমেরিকান রুইয়ের চাষ করা হয়। মৎস্য দফতর সূত্রে জানা যায়, সাগরদিঘি দেখভাল করার জন্য ৮ জন স্থায়ী ও ১৬ অস্থায়ী কর্মী আছেন। তাঁরা ৫ মাস বেতন পাচ্ছেন না। এত কর্মী সত্ত্বেও কেন সাগরদিঘির রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

হরিণ উদ্ধার কোটশিলায়
—নিজস্ব চিত্র।
কুয়ো থেকে এক হরিণ শাবককে উদ্ধার করল এক যুবক। কোটশিলা থানার গয়রাটাঁড়ের ঘটনা। সিমনি বিটের হরতাল গ্রাম লাগোয়া একটি কুয়োয় বুধবার ভোরে এক বধূ জল আনতে গিয়েছিলেন। কুয়োর জলে কিছু ভাসতে দেখে তিনি বাড়ি গিয়ে দেওরকে বলেন। দেওর জগন্নাথ কুমার বলেন, “আমি এবং পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখি কুয়োয় কোনও জীবযন্তু ভাসছে। কোমরে দড়ি বেঁধে নামার চেষ্টা করি। পরে দড়িতে ফাঁস করে ওই যন্তুকে তুলতে দেখি হরিণ শাবক।” তাঁর দাবি, গ্রামে নিয়ে এলে লোকজন হরিণটিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে দিই। পুলিশ ও বনদফতরে খবর দিই। কোটশিলার রেঞ্জার ললিত মোহন মাহাতো বলেন, “ওই হরিণ শাবকটি শরীরে চোট পেয়েছে। সুরুলিয়া বন্যপ্রানী পুনর্বাসনকেন্দ্রে রাখা হয়েছে।” জেলা বনাধিকারিক অজয়কুমার দাস বলেন, “শাবকটি চিতল হরিণ। আড়াই বছরের হবে। চিকিৎসা করানো হয়েছে। তবে যে ভাবে ওই যুবক হরিণটিকে বাঁচিয়েছেন, তাই তাঁকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”

বনমহোৎসব
সম্প্রতি খড়্গপুর গ্রামীণ থানার বলরামপুরে আয়োজিত হল বনমহোৎসব। বলরামপুর কস্তুরবা ট্রাস্ট বিদ্যাপীঠের পরিচালনায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণও করা হয়। এই উপলক্ষে আয়োজিত যোগাসন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ মাহাতো।

পরম যত্নে... জার্মানির এক চিড়িয়াখানায় নবজাত মার্মোসেট। ছবি: এএফপি।

বনাঞ্চল উৎসব
শিলিগুড়ি হর্টিকালচার সোসাইটির উদ্যোগে বনাঞ্চল উৎসব শুরু হল। বুধবার প্রধাননগর এলাকায় মহানন্দা সেতু লাগোয়া হিলকার্ট রোডের ধারে ৬০টি ফুল এবং ফলের গাছ লাগান উদ্যোক্তারা। নারকেল, সুপারি, জামরুল, পেয়ারার মতো প্রায় ৫০০ চারা বিলি করা হয়। সোসাইটির কার্যনির্বাহী সভাপতি নান্টু পাল বলেন, “৪ দিন বিভিন্ন এলাকায় গাছ লাগানো হবে। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে চারা বিলি হবে।”

সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু
সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম সুধাংশু মান্না (৫৪)। বাড়ি দাসপুর থানার মাগুরিয়া গ্রামে। দুধকোমড়া পঞ্চায়েতের ট্যাক্স-কালেক্টর সুধাংশুবাবু গত সোমবার রাতে গরমের জন্য বাড়ির উঠোনে ঘুমোচ্ছিলেন। তখনই তিনি সর্পদষ্ট হন। তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস খানেক আগে এই গ্রামেই তণু করণ নামে এক যুবকেরও সাপের কামড়ে মত্যু হয়েছিল।

সাপের ছোবলে মৃত্যু
সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে নিখিল ঘোষ (২৭) নামে এক যুবকের। বাড়ি খড়গ্রামের মাড়গ্রামে। বুধবার সকালে খেতে যাওয়ার সময়ে তাঁকে সাপে ছোবল মারে। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে খড়গ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মারা যায় নিখিল।

ধরা পড়ল শেয়াল
বিমানবন্দরে রাখা খাঁচায় ধরা পড়ল আরও একটি শেয়াল। বুধবার কলকাতা বিমানবন্দরের কর্মীরা দমকল কেন্দ্রের কাছে রাখা খাঁচায় শেয়ালটিকে আটক অবস্থায় দেখে বন দফতরে খবর পাঠান। পরে বন দফতরের কর্মীরা এসে শেয়ালটিকে নিয়ে যান। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এখনও মাঝে মধ্যে রানওয়েতে শেয়াল চলে আসায় বিমান নামা-ওঠায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে যাত্রী-নিরাপত্তা। শেয়াল ধরার জন্য এখন বিমানবন্দরে ১০টি খাঁচা রাখা আছে। সেখানে নিয়মিত টোপ হিসেবে মুরগি রাখা হয়। তাতে গত দু’বছরে শেয়াল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল মিলিয়ে প্রায় ৪৩টি প্রাণী ধরা পড়েছে।

ফুল-সখা। ব্যাণ্ডেলে রূপম রায়ের তোলা ছবি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.