নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
বিচারকদের জেলা আদালতে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় সোমবার ৪৪ জন যুব কংগ্রেস কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হন জলপাইগুড়ি বার আসোসিয়েশনের সম্পাদক সহ কয়েকজন আইনজীবীও। ভক্তিনগর থানাকে শিলিগুড়ি কমিশনারেটে অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতায় এদিন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের গেট অবরোধ কর্মসূচি ছিল যুব কংগ্রেসের। সকাল ৯ টা থকে যুব কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা আদালতের গেট জড়ো হন। বেলা ১০টা নাগাদ বিচারকদের গাড়ি আদালতের গেটের সামনে এলে পুলিশ অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। অবরোধ সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় যুব কংগ্রেসিদের। তবে বিচারক এবং কর্মীরা এদিন আদালতে ঢুকলেও আইনজীবীরা কেউ কাজে যোগ দেননি। ভক্তিনগর থানাকে শিলিগুড়ি কমিশনারেটে অর্ন্তভুক্তির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে গত সপ্তাহ থেকেই যুব কংগ্রেস সহ বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলনে নেমেছে। শিলিগুড়ি লাগোয়া জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানাকে শিলিগুডি কমিশনারেটের আওতায় আনার প্রস্তাবের বিরোধিতায় এদিন যুব কংগ্রেসের আদালত অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন জানায় জলপাইগুড়ি বার আসোসিয়েশন। |
আদালত অবরোধের অভিযোগে জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ যুব কংগ্রেসের কিছু কর্মী ও আইনজীবীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অবশ্য সকলকে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত বাবু বলেন, “যে ভাবেই হোক আন্দোলন করে ভক্তিনগরকে শিলিগুড়ি কমিশনারেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা রুখতে হবে।” জলপাইগুড়ি বার আসোসিয়েশন সম্পাদক অভিনন্দন চৌধুরী বলেন, “ভক্তিনগর থানাকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের এক্তিয়ারের বাইরে যেতে না দেওয়ার দাবিতে যুব কংগ্রেস আন্দোলন করছে। তাতে নৈতিক ভাবে সমর্থন করছি আমরা।” এদিন একই দাবিতে জেলা ছাত্র পরিষদের তরফে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ছাত্র পরিষদের কর্মীদের রেল অবরোধ কর্মসূচি থাকলেও পুলিশ অবরোধকারীদের লাইনে নামতে বাধা দেয়। ছাত্র পরিষদ নেতা অভিজিৎ সিংহ বলেন, “অবরোধ করতে গেলে পুলিশ সকলকে গ্রেফতার করেছে। তবে আমরা আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসব না। পরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে।” |