কেন্দ্রীয় একটি প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠল সিপিএমের এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ পঞ্চায়েতের ঘটনা। পঞ্চায়েত প্রধান ফনিভূষণ ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে সোমবার পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হিড়বাঁধের বিডিও অনুপম চক্রবর্তী। প্রধান অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১০-১১ সালে কেন্দ্রের ‘পঞ্চায়েত যুব খেল ও ক্রীড়া অভিযান’ প্রকল্পে হিড়বাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েত ৬০ হাজার টাকা পেয়েছিল। এলাকায় খেলাধূলার মানোন্নয়নের কাজে বরাদ্দ ওই অর্থ খরচ করার কথা। কিন্তু ওই অর্থ খরচ না করে পঞ্চায়েত প্রধান আত্মসাৎ করেছেন বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বিডিও-র কাছে গত মে মাসে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের তদন্ত করে বিডিও প্রধানকে শো-কজ করেন। প্রধান গত ২৬ মে শো-কজের জবাব দিয়ে জানান, ভুল করে ওই প্রকল্পের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের তহবিলে সেই টাকা ফেরত দেন প্রধান।
বিডিও বলেন, “নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওই প্রকল্পের টাকা প্রধান তুলে নিয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে প্রধান ওই টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেছিলেন বলে তদন্তে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। টাকা খরচ না করে তা তুলে নেওয়ার অভিযোগে প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”
বিডিও-র দাবি, ধরা পড়ার পরে প্রধান ওই প্রকল্পের টাকা পঞ্চায়েতের অ্যাকাউন্টে জমা করেন। প্রধান ফনিভূষণ ভুঁইয়া অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আমি ওই প্রকল্পের টাকা ভুল করে তুলে ফেলেছিলাম। বিডিও শো-কজ করার পরে সেই টাকা ফেরত দিয়েছি। টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” তাঁর দাবি, রাজনৈতিক কারণে তৃণমূল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। সিপিএমের হিড়বাঁধ জোনাল কমিটির সম্পাদক পরিতোষ পাত্র অবশ্য দাবি করেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ না নিয়ে কিছু বলতে পারব না। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের হিড়বাঁধ ব্লক সহ-সভাপতি জীতেন মহান্তি বলেন, “খেলাধুলোর সরঞ্জাম কেনার জন্য বরাদ্দ অর্থ সিপিএমের প্রধান আত্মসাতের চেষ্টা করেছিলেন এ বার প্রমাণ মিলল।” |