স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলে ক্লাস বয়কট করে প্রতিবাদ জানাল ছাত্রছাত্রীরা। তাতে সামিল হন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশও। সোমবার বসিরহাটের দণ্ডিরহাট নগেন্দ্রকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। ফলে, এ দিন ওই স্কুলে কোনও ক্লাস হয়নি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলের সম্পাদক।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে স্কুলের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক ছিল। প্রধান শিক্ষক দীপকরঞ্জন মণ্ডল, সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য এবং শিক্ষকদের একাংশ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষ হওয়ামাত্র অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় এসে দীপকবাবুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
প্রধান শিক্ষক বলেন, “বৈঠক শেষ হওয়ার পরে অমিতাভবাবু হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আমার দিকে চেয়ার ছুড়ে মারেন। আমাকে মারধরও করেন। চরম হেনস্থা করা হয়। আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। ঘটনার কথা স্কুলের স্টাফ কাউন্সিল, সহকর্মী এবং শিক্ষা দফতরে জানিয়েছি।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ফোনে অমিতাভবাবু বলেন, “স্কুলের নথিপত্র এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র ঠিক নেই। এ বিষয়ে বারবার বলা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক কোনও ব্যবস্থা নেন না। উল্টে আমাকে ভুল বুঝিয়ে অনৈতিক কাজ করানোর চেষ্টা করাচ্ছিলেন। আমি প্রতিবাদ করি। নিজের অন্যায় ঢাকার জন্য প্রধান শিক্ষক আমার নামে তাঁকে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক।” দু’জনের কেউই সোমবার স্কুলে আসেননি। অমিতাভবাবুর অভিযোগ মানেননি প্রধান শিক্ষক।
প্রধান শিক্ষককে ‘হেনস্থা’র খবর ছড়িয়ে পড়তেই এ দিন ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। স্কুল পরিচালন সমিতির এক সদস্য এবং স্থানীয় কাউন্সিলর স্কুলে গেলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ হয়। স্কুলে এসে সম্পাদকের ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলে ছাত্রছাত্রীরা। |