প্রায় দেড় বছর ধরে রাতে কোনও আলো জ্বলে না রায়দিঘি-কঙ্কনদিঘির মধ্যে সংযোগকারী সেতুটিতে। ফলে, রাতে সেতু পারাপারে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, অন্ধকারের সুযোগে সেতুতে দুষ্কর্মমূলক কাজকর্ম বাড়ছে। অবিলম্বে সেতুতে আলোর ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তাঁরা। দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মথুরাপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দনবন উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-২ ব্লকের মণি নদীর উপর রায়দিঘি ও কঙ্কনদিঘির মধ্যে সংযোগকারী সেতুটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়। সেতুতে আলোর ব্যবস্থা করার দায়িত্বে ছিল সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতি। সেই সময়ে রাতে সেতুর উপর দিয়ে চলাচলের সুবিধার জন্য ৩৮টি বৈদ্যুতিন আলো লাগানো হয়। কিন্তু বিদ্যুতের বিল বেশি আসায় বছর খানেক পর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে সেতুটির উপর সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়। গোটা সেতুতে ২৯টি সৌর-বিদ্যুতের আলো লাগানো হয়। এ ভাবে কয়েক বছর চলার পরে সৌর-বিদ্যুতের আলোর ব্যাটারি চুরি হতে থাকে। সেই চুরি ঠেকানো যায়নি। প্রায় দেড় বছর ধরে কোনও আলোর ব্যবস্থা নেই সেতুটিতে। |
আলোহীন সেতুতে যাতায়াত করতে রীতিমতো ভয় পান এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিদিন রায়দিঘি, কঙ্কনদিঘি, মইপীঠ, কয়েমুড়ি, নগেন্দ্রপুর-সহ ১০-১৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াত করতে হয় সেতুটি দিয়ে। তাঁদের দাবি, রাত বাড়লেই দুষ্কৃতীদের আনাগোনা শুরু হয় সেতুতে। চুরি-ছিনতাই তো রয়েছেই, বিঘ্নিত হচ্ছে মহিলাদের নিরাপত্তাও। রায়দিঘি বাজারের এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, রাতে মদ্যপ অবস্থায় মহিলাদের উপর চড়াও হচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
সমস্যার কথা মেনে নিয়ে মথুরাপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংসমোহন কয়াল বলেন, “সৌর-বিদ্যুতের আলোর ব্যাটারিগুলি চুরি হয়ে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্রুত বিধায়ক তহবিল থেকে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে সৌর-বিদ্যুতের আলোর ব্যবস্থা করা হবে সেতুতে।” |