গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে সোমবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন পূর্ণিমা ভাস্কর নামে এক মহিলা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মনোজ দাস ও গোলাম মোস্তাফা। তাঁরা দু’জনেই একটি বেসরকারি এক সংস্থার কর্মী। এর পাশাপাশি সংস্থার আরও দুই কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বহরমপুর থানার আইসি মোহায়মেনুল হক বলেন, “পূর্ণিমাদেবী ও তাঁর স্বামী দিলীপ ভাস্কর একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়েছেন। ওই টাকা আদায় করতে এদিন সংস্থার দুই কর্মী বহরমপুরের সৈয়দাবাদ এলাকার বাসিন্দা ওই দম্পতির বাড়িতে যান। সেই সময়ে ওই মহিলা বাড়িতে একাই ছিলেন। ওই দু’জন কর্মী তখন পাড়া-প্রতিবেশী সকলের সামনে ওই মহিলার উদ্দেশ্যে অপমানজনক কথা বলেন বলে অভিযোগ।”
ওই অপমান সহ্য করতে না পেরে এর পরেই ওই মহিলা বাথরুমের মধ্যে ঢুকে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পরে পাড়া-প্রতিবেশী সকলে তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। ওই ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা সংস্থার দুই কর্মীকে আটক করে মারধর করেন বলেও অভিযোগ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুরের মধুপুরে ওই বেসরকারি সংস্থার কার্যালয় রয়েছে। ওই সংস্থা বাৎসরিক ২৬ শতাংশ সুদে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের ঋণ দিয়ে থাকে। পেশায় কাঠমিস্ত্রি দিলীপবাবু ও তাঁর স্ত্রী ওই সংস্থার কাছ থেকে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন। তার পর কোনও অর্থ শোধ করেননি বলে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ। আইসি বলেন, “ধৃতদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঋণ প্রদানের কোনও সরকারি স্বীকৃতি ওই সংস্থার রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য সংস্থার দুই কর্তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।” |