|
|
|
|
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ কাণ্ড |
লক্ষ্মণ শেঠের পরে জামিন এ বার অমিয়, অশোকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
লক্ষ্মণ শেঠের পরে এ বার নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে জেলবন্দি আরও দুই সিপিএম নেতার জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৭ মার্চ লক্ষ্মণবাবুর সঙ্গেই মুম্বই থেকে সিআইডি-র হাতে ধরা পড়েন পূর্ব পাঁশকুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক অমিয় সাউ এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষকসভার সম্পাদক অশোক গুড়িয়া। লক্ষ্মণবাবুর মতোই জেলা ও হাইকোর্টে আগে একাধিক বার তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছিল। সোমবার অবশ্য তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ১৩ জুলাই এই বেঞ্চই লক্ষ্মণবাবুর জামিন মঞ্জুর করেছিল। লক্ষ্মণবাবুর মতোই এই দুই নেতাও আপাতত পূর্ব মেদিনীপুরে যেতে পারবেন না। যেখানে থাকবেন সেখানকার থানায় মাসে দু’বার হাজিরাও দিতে হবে তাঁদের।
আবেদনকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এবং রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি মামলায় (দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ড) প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিএমের বর্তমান বিধায়ক সুশান্ত ঘোষকে সুপ্রিম কোর্ট যে যুক্তিতে জামিন দিয়েছিল, সেই একই যুক্তিতে লক্ষ্মণবাবুরা মুক্তি পেয়েছেন।” ওই আইনজীবীদের কথায়, “সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, জামিনের জন্য আইন রয়েছে, আটকে রাখার জন্য নয়। তদন্ত শেষ করে
চার্জশিট আদালতে পেশ হয়ে গেলে অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রেখে দেওয়া যায় না। দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগে একমাত্র তদন্তের স্বার্থে কোনও ব্যক্তিকে কিছু দিন জেল হেফাজতে রাখা যায়। কিন্তু তার পরে একমাত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, রাষ্ট্রবিরোধী অভিযোগের ক্ষেত্রেই কোনও কোনও মামলায় অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রাখা যায়। তবে তা ব্যতিক্রম।” |
অশোক গুড়িয়া |
অমিয় সাউ |
|
এই মামলায় মোট অভিযুক্ত ৮৮ জন। জামিন পেলেন ১১ জন। এখনও জেলে রয়েছেন ৯ জন সিপিএম নেতা-কর্মী। এক জন মৃত। ‘ফেরার’ বাকি ৬৭ জন। গত ৩০ জানুয়ারি নিখোঁজ-কাণ্ডে হলদিয়া আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। তার কয়েকমাস আগে থেকে আত্মগোপন করেছিলেন লক্ষ্মণবাবু, অমিয়বাবু, অশোকবাবুরা। তাঁদের নামে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। ২০০৭-এর নভেম্বরে সিপিএমের নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখল’-পর্বে নিখোঁজ হন ভূমি-উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির কয়েকজন। চার বছরেও জেলা পুলিশ তাঁদের খোঁজ দিতে পারেনি। রাজ্যে পালাবদলের পরে কয়েক জন নিখোঁজের পরিজন হাইকোর্টে ‘হেবিয়স কর্পাস’ করেন। তার ভিত্তিতেই গত ২৭ সেপ্টেম্বর সিআইডি-তদন্তের নির্দেশ হয়। সিআইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, নিখোঁজদের খুনই করা হয়েছিল। প্রমাণ লোপাটের জন্য লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সমুদ্রে।
|
—ফাইল চিত্র |
|
|
|
|
|