জীবনের প্রথম অলিম্পিকে নামতে চলা সোমদেব দেববর্মন যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। লন্ডনে পা রেখে ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড় বলে দিলেন, “১৫ বছর টেনিস খেলছি। কাঁধের চোট আর অস্ত্রোপচারের জন্য র্যাঙ্কিংয়ে ৩৩৩ নম্বরে নেমে গেছি। কিন্তু আমি তো গত বছরও ৬২ নম্বরে ছিলাম। সিঙ্গলসে রমেশ কৃষ্ণনের পরে ভারতীয়দের সেরা র্যাঙ্কিং। চোট পাওয়ার সময়েও ৮৫ নম্বরে ছিলাম। ফলে অলিম্পিকে ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়াটা আমার কাছে অত্যাশ্চর্য কিছু নয়। বরং ওটা পেতামই বলে আমি মনে করি।” আমেরিকার অস্টিনে তাঁর অলিম্পিক-প্রস্তুতিতে সোমদেব মার্কিন কুস্তিগীরের সঙ্গে পর্যন্ত অনুশীলন করেছেন শারীরিক শক্তিবৃদ্ধি করতে। ২৭ বছর বয়সি, ভারতের এক নম্বর টেনিস প্লেয়ার বলছেন, “আরও কয়েক বছর পেশাদার সার্কিটে সিঙ্গলস খেলব। স্বপ্ন ছিল দেশের হয়ে সোনার পদক জেতা। গুয়াংঝৌ এশিয়াডে সিঙ্গলস চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেটা পূরণ করেছি। অলিম্পিকে এক-একটা ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। জানি কঠিন লড়াই। তবে আমি ফেডেরার, মারেদের সঙ্গে খেলেছি। প্রথম ৩০-এ থাকা কয়েকজনকে হারিয়েওছি। যদিও ৯ মাস পর প্রথম টুর্নামেন্ট খেলব। কিন্তু সব দিক দিয়ে এই মুহূর্তে চাঙ্গা আছি। আশা করি, ভালই করব।”
|
অলিম্পিক ব্যাডমিন্টনে পদকের সন্ধানে মোটামুটি সহজ রাস্তা পেলেন সাইনা নেহওয়াল। প্রি-কোয়ার্টার পর্যন্ত কঠিন প্রতিপক্ষ পাচ্ছেন না বেজিং গেমসের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট সাইনা। তাঁকে প্রথম কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীকে খেলতে হবে শেষ আটে। পঞ্চম বাছাই টাইন বন কিংবা ১২ নম্বর বাছাই জাপানি কেনিচি তাগো-র বিরুদ্ধে। দু’জনকেই অতীতে একাধিকবার হারিয়েছেন সাইনা। গ্রুপে প্রথম ম্যাচ সাইনা খেলবেন ২৮ জুলাই অনামী সুইস সাব্রিনা জাঁকের বিপক্ষে। গ্রুপ ‘ই’-তে তাঁর অন্য ম্যাচ বেলজিয়ামের লিয়ান তানের সঙ্গে। বিশ্বের পাঁচ নম্বর সাইনার সম্ভাব্য প্রি-কোয়ার্টার প্রতিপক্ষ ১৪ নম্বর বাছাই ডাচ মেয়ে ইয়াও জি। বরং মেয়েদের ডাবলসে পদকের দাবিদার জ্বালা গাট্টা-অশ্বিনী পোনাপ্পা কঠিন গ্রুপে পড়েছেন। ‘বি’ গ্রুপে তাঁদের লড়তে হবে চতুর্থ বাছাই জাপানের ফুজি-কাকিওয়া ছাড়াও চিনা তাইপে ও সিঙ্গাপুর জুটির বিরুদ্ধে।
|
লন্ডনে হকির যুগান্তকারী সিদ্ধাম্তের দিনেই ভারতীয় দলের এক নম্বর ড্র্যাগ-ফ্লিকার সন্দীপ সিংহের শপথ, প্রতি ম্যাচে গোল করা। অলিম্পিকেই প্রথম হকিতে রেফারেল পদ্ধতি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিল আন্তর্জাতিক হকি সংস্থা। দু’দলই প্রতি ম্যাচে একবার করে রেফারেল চাইতে পারবে মাঠের আম্পায়ারের মাধ্যমে টিভি আম্পায়ারের কাছে। অতিরিক্ত সময়-সহ ম্যাচের যে কোনও সময় এটা চাওয়া যেতে পারে। তবে পেনাল্টি শু্যট-আউটের সময় একমাত্র মাঠের আম্পায়ারদ্বয়েরই অধিকার থাকবে রেফারেল চাওয়ার। দু’দলের যে রেফারেল চাওয়ার সুযোগ থাকছে সেটার মধ্যে থাকবে গোল, পেনাল্টি কর্নার ও পেনাল্টি স্ট্রোক নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ। গোলপোস্টের থেকে সর্বাধিক ২৩ মিটারের মধ্যের ঘটনা হতে হবে। সন্দীপের কাছে অবশ্য তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভারতের প্রতিটা ম্যাচে গোল করা। গেমস ভিলেজে তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য প্রতিটা ম্যাচে গোল করা। আশা করি, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমার নেওয়া পেনাল্টি কর্নারগুলো ঠিকঠাক টার্গেট খুঁজে পাবে।” বিশ্বের অন্যতম সেরা ড্র্যাগ-ফ্লিকারের স্বীকৃতি পেলেও সন্দীপ নিজে বলছেন, “নিজেকে সেরা ফ্লিকার মনে করি না। তবে প্রতিদিন ড্র্যাগ-ফ্লিক নিয়ে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করি।” লন্ডনে ৩০ জুলাই নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ভারতের প্রথম ম্যাচে নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে সন্দীপের মন্তব্য, “শুধু ড্র্যাগ-ফ্লিকার হয়ে থাকতে চাই না। কমপ্লিট প্লেয়ার হয়ে উঠতে চাই। ডাচদের আক্রমণ থেকে ভারতীয় ডিফেন্সকে অক্ষত রাখাও আমার লক্ষ্য।” এ বারের দলে ইগনেস তিরকে বাদে শুধু সন্দীপেরই অলিম্পিকে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।
|