গেমস ভিলেজে ঢুকেই ব্যক্তিগত টার্গেট স্থির করে ফেলেছেন মহেশ ভূপতি।
উসেইন বোল্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ। “মানুষের ক্ষমতা কোন উচ্চতায় পৌঁছনো সম্ভব তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ উসেইন বোল্ট। গোটা পৃথিবীর নতুন প্রজন্মকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন। এই গ্রহের সেরা অ্যাথলিট। মনে রাখতে হবে, বোল্ট প্রথম বিশ্ব থেকে আসেননি,” আজ অলিম্পিক ভিলেজে বলেছেন মহেশ। সঙ্গে অবশ্য যোগ করেছেন, “তবে বিশ্বসেরা স্প্রিন্টারও এ বছর কয়েকবার হেরেছেন। এতে আরও বেশি করে প্রমাণ হয়ে যে, গ্রেটেস্ট ক্রীড়াবিদরাও মানুষ। অপরাজেয় নন।”
টেনিসে তাঁর ও রোহন বোপান্নার জুটির ডাবলসে দেশকে পদক এনে দেওয়ার সম্ভাবনা কতটা? প্রশ্ন উঠলে ভারতের অন্যতম সেরা ডাবলস প্লেয়ার বলেছেন, “এটা নির্ভর করছে কেমন ড্র পাই আর কেমন খেলি এই দুটো বিষয়ের ওপর। ডাবলসে যা এন্ট্রি পড়েছে তাতে কুড়ি থেকে পঁচিশটা গ্রেট ডাবলস টিম টুর্নামেন্টে খেলবে। যে কোনও জুটির মতোই আমাদেরও পদক জেতার সুযোগ আছে। গলায় পদক ঝোলাতে পোডিয়ামে দাঁড়ানোর জন্য তো চারটে ম্যাচ জিতলেই চলবে। যদিও আমরা একটা-একটা ম্যাচ ধরেই এগোব।”
৩৮ বছরের মহেশ স্বীকার করছেন, পাঁচটা অলিম্পিকে নামবেন ভাবেননি এবং গ্র্যান্ড স্লামের চেয়েও এ বার অলিম্পিক ডাবলসে কঠিনতর লড়াই হবে। “টেনিসজীবন শুরু করার সময় ভাবতেও পারিনি টানা পাঁচটা অলিম্পিক খেলব। আমার অসাধারণ সফল, দীর্ঘ কেরিয়ারের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে”, বলেছেন তিনি। পাশাপাশি আরও বলেছেন, “উইম্বলডনের থেকেও অল ইংল্যান্ড ক্লাবের ঘাসের কোর্টে অলিম্পিক ডাবলসে কঠিন লড়াই হবে। বিশ্বের সেরা টেনিস প্লেয়াররা প্রায় সবাই ডাবলসে অংশ নেবে। তবে আমি ঘাবড়াচ্ছি না। আমি আর বপ্স (বোপান্না) শুধু নিজেদের ম্যাচে ফোকাসড্ থাকব। আমাদের স্বপ্ন পোডিয়ামে দাঁড়ানো। পদক জিততে পারলে সেটা আমার শ্রেষ্ঠ সাফল্য হবে। গ্র্যান্ড স্লাম তো প্রতি বছরই হয়। একটায় হারলে আরও তিনটেতে সুযোগ থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। কিন্তু অলিম্পিক চার বছরে একবার আসে। সে জন্যই বিশ্বের সেরা পেশাদার টেনিস প্লেয়াররাও সার্কিটে এত নাম-যশ পাওয়ার পরেও অলিম্পিকে ভাল করার জন্য জান লড়িয়ে দেয়।”
লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে তীব্র ঝগড়া নিয়ে একটি শব্দও নয়। বরং মহেশ হাসতে-হাসতে বলেছেন, “চার বছর আগে বেজিংয়েও মিডিয়ার প্রশ্ন ছিল, আমাকে লন্ডন অলিম্পিকে খেলতে দেখা যাবে কি না? এ বার লন্ডনে পৌঁছতেই শুনতে হচ্ছে, চার বছর পর ব্রাজিল অলিম্পিকেও খেলব কি না? সোজা কথা, আমি প্রতি বছরের প্রথম দিন সিদ্ধান্ত নিই, সেই বছরও খেলব কি না। ২০১৪-র পয়লা জানুয়ারি বুঝতে পারব ব্রাজিল গেমসেও যাব কি না!” |