মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলা। মোটর-বাইক আরোহী অনিমেষ গিরির পথ আটকালেন একদল পুলিশকর্মী। অনিমেষ ভাবছেন, এই বুঝি ধেয়ে আসবে প্রশ্নবাণ হেলমেট কোথায়? বাইকের গতি এত বেশি কেন? অথচ কিছুই হল না। উল্টে এক পুলিশকর্মী চকোলেট দিলেন। বললেন, “আজ মিষ্টিমুখ করুন। তবে কাল থেকে মোটর বাইক নিয়ে বেরোলে মাথায় যেন হেলমেট থাকে। না হলে জরিমানা দিতে হবে।” সোমবার বিকেলে এ ভাবেই পথচলতি মানুষকে সচেতন করলেন পুলিশকর্মীরা। বোঝালেন, দুর্ঘটনা এড়াতে তাঁদের কী করণীয় রয়েছে। বিশেষ করে সতর্ক করা হল মোটর বাইক আরোহীদের। বলা হল, সব সময় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, হেলমেট পরবেন। হঠাৎ এমন উদ্যোগ? মোটর বাইক আরোহীদের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে ডিএসপি (ট্রাফিক) প্রভাত চক্রবর্তীর জবাব, “সচেতনতার জন্য নানা কর্মসূচি হচ্ছে। তা-ও অনেকে সচেতন হচ্ছেন না। আজ তাই মিষ্টিমুখ করানো হল!” পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করেন ডিএসপি (ট্রাফিক)। তখনই ঠিক হয়, বিকেলে কেরানিতলায় বাইক আরোহীদের চকলেট বিলি করে সচেতন করা হবে। |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তেই দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। গত ৬ মাসেও জেলায় বেশ কয়েকটি বড় পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ট্রাফিক ব্যবস্থার ‘হাল’ ফেরাতে পদক্ষেপ করা শুরু করেছে পুলিশ। জেলার উপর দিয়ে চলে যাওয়া জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ৩৪টি এলাকাকে ইতিমধ্যে ‘ব্ল্যাক স্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে বছরের নানা সময়ই বিভিন্ন কর্মসূচি করে পুলিশ। ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করা হয়। হয় সেমিনার, পদযাত্রা। তারই সঙ্গে যুক্ত হল এ দিনের গাঁধীগিরি। ডিএসপি (ট্রাফিক) বলেন, “সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। আজ কারও নামে কেস দেওয়া হয়নি। তবে এ বার হেলমেট নিয়ে না বেরোলে, সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্স-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না- রাখলে কেস করা হবে।” |