এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার শ্যামপুরের সৈয়দপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শেখ আসিরুদ্দিন (৩৫)। তিনি তৃণমূল সমর্থক ছিলেন বলে দাবি দলের স্থানীয় নেতৃত্বের। তাঁদের অভিযোগ, সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বোমা মেরে খুন করেছে আসিরুদ্দিনকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। বোমাবাজির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিহত যুবকের শরীরে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বোমার শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পালানোর সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন শ্যামপুরের গ্রামের ওই যুবক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কয়েক জন গ্রামবাসীর সঙ্গে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন আসিরুদ্দিন। হঠাৎই সেখানে চড়াও হয় ১০-১২ জন দুষ্কৃতী। তারা বোমা ছুড়তে থাকে ওই যুবককে লক্ষ্য করে। খানিক দূর দৌড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আসিরুদ্দিন। পরে আত্মীয়-প্রতিবেশীরা উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ওই যুবককে।
কিন্তু কেন আসিরুদ্দিনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হবে?
তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, ওই গ্রামে একটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসিরুদ্দিনের সঙ্গে গ্রামবাসীদের একাংশের বচসা বেধেছিল। তারই জেরে বোমা ছোড়া হয় ওই যুবককে লক্ষ্য করে।
উলুবেড়িয়া (দক্ষিণ) কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পুলক রায়ের বক্তব্য, “আসিরুদ্দিন আমাদের দলের সমর্থক ছিলেন। সিপিএমের লোকজন বহু বছর ধরে তাঁকে সপরিবার ঘরছাড়া করে রেখেছে। ২০১১ সালে আমরা ওঁদের ফিরিয়ে আনি। ফের তাঁদেরদ গ্রামছাড়া করার উদ্দেশে সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালাল।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের উলুবেড়িয়া ৪ নম্বর জোনাল কমিটির সম্পাদক সুফল বাগ বলেন, “গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” |