নিজের কর্মীকে খুন করার অভিযোগে গত কাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিহার বিধান পরিষদের বিজেপি সদস্য অশোক অগ্রবালকে পুলিশ গ্রেফতার করল। কাটিহারের পুলিশ সুপার কিম বলেন, “কাল রাতে তাঁকে সদর থানায় ডেকে এনে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী ওই বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতেই তাকে সিজেএম আর এন ত্রিপাঠীর বাড়ির ‘আদালতে’ অশোক অগ্রবালকে পেশ করা হয়। তাঁকে ১৪ দিনের জন্য কাটিহার জেলে পাঠানো হয়েছে।” গ্রেফতারের পরে অশোক অগ্রবালকে আজ বিজেপি দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই সকালে বিধায়কের বাড়িতে, তাঁর দেহরক্ষীর কার্বাইনের গুলিতে নিহত হন অশোকবাবুরই পেট্রোল পাম্পের কর্মী ধীরাজ মাহাতো। তখন দাবি করা হয়, অশোকবাবুর দেহরক্ষী অবধকিশোর যাদব কার্বাইন পরিষ্কার করছিল। সেই সময় পাশেই দাঁড়িয়েছিল ধীরাজ। কার্বাইন থেকে গুলি ছিটকে গিয়ে ধীরাজের গায়ে লাগে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে ধীরাজের পরিবারের তরফে ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে ধীরাজকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই দিন এলাকার মানুষ ওই বিধায়ককে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভও দেখাতে থাকে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায়। এরপরেই অশোক অগ্রবাল আত্মগোপন করেন। কাল ধীরাজের দেহের ফরেনসিক রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসার পরে তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুলিশ সুপার কিম বলেন, “ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ওই ঘটনাটি দুর্ঘটনাজনিত নয়। অশোকবাবুদের তরফে প্রথমে যা বলা হয়েছিল তার সঙ্গে ওই রিপোর্টের মিল পাওয়া যায়নি। ওই ব্যক্তিকে ইচ্ছে করেই গুলি করা হয়েছিল।” পুলিশ সুপারের বক্তব্য, “নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” পুলিশ সুপার বলেন, “এখনও জানা যায়নি ওই ব্যক্তিকে কে গুলি করেছিল। সেটাই আমরা তদন্ত করছি। যদি দেখা যায় ওই নিরাপত্তা কর্মী এর মধ্যে জড়িত, তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে।”
এ দিকে, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সি পি ঠাকুর বলেন, “অশোক অগ্রবাল গ্রেফতার হওয়ায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমরা চাইছি, আইনের পথেই এর বিচার হোক। যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তবে তাঁকে ফের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, গত বছর আরারিয়ার ফরবেশগঞ্জে গ্রামের রাস্তা দখল করে একটি কারখানার প্রাচীর দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোলে পুলিশের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় বিহার জুড়ে আলোড়ন উঠেছিল। সেই কারখানাটিরও মালিক এই অশোক অগ্রবালই। |