টুকরো খবর
প্রয়াত লক্ষ্মী সহগল
সুভাষচন্দ্র বসুর রানি ঝাঁসি বাহিনীর ‘লক্ষ্মীবাই’ ছিলেন তিনি। সৈনিকের সেই নাছোড় মনোভাব বজায় ছিল জীবনের প্রায় শেষ দিন পর্যন্ত। তাই অসুস্থ অবস্থাতেও রোগীদের চিকিৎসা করেছেন। সেই জীবনযুদ্ধে আজ দাঁড়ি পড়ল। মারা গেলেন লক্ষ্মী সহগল। গত ১৯ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লক্ষ্মী সহগলকে। আজ বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ মারা যান ৯৭ বছর বয়সী এই স্বাধীনতা সংগ্রামী। চোখ ও দেহ দান করে গিয়েছিলেন তিনি। বাবা এস স্বামীনাথন ছিলেন আইনজীবী। মা আম্মুকুট্টি ছিলেন সমাজসেবী। ১৯৩৮ সালে মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেন লক্ষ্মী। ১৯৪০-এ পাড়ি দেন সিঙ্গাপুর। সেখানে গরিবগুর্বো, দেশছাড়া মানুষের চিকিৎসা করতে শুরু করেন তিনি। এ ভাবেই কেটে যায় দু’বছর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আহত সেনাদের সেবায় নেমে পড়েন লক্ষ্মী। জীবন বদলে যায় ১৯৪৩ সাল থেকে। ’৪৩-এ সিঙ্গাপুরে যান সুভাষচন্দ্র বসু। তৈরি করেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ)। আইএনএ-র ঝাঁসি-বাহিনীর কর্নেল হন লক্ষ্মী। পরবর্তী কালে নেতাজির আজাদ হিন্দ সরকারের মন্ত্রীও হন তিনি। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আইএনএ-র পরাজয়ের পর ১৯৪৬-এ বন্দি সহগলকে ফিরিয়ে আনা হয় ভারতে। পরের বছরই এল স্বাধীনতা। ৪৭’এই আইএনএ-র সহকর্মী প্রেম কুমার সহগলকে বিয়ে করেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নতুন ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে। বাঁধভাঙা জলের মতো আসছেন উদ্বাস্তুরা। কলকাতায় ক্যাম্প করে উদ্বাস্তুদের চিকিৎসা শুরু করলেন লক্ষ্মী। ১৯৭১-এ যোগ দিলেন বামপন্থী আন্দোলনে। এ সময় রাজ্যসভার সদস্য হিসেবেও নির্বাচিত হন। ২০০২-এ রাষ্ট্রপতি ভোটে এপিজে আব্দুল কালামের বিরুদ্ধে বামফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন তিনি। ভোটযুদ্ধে জিততে পারেননি যদিও। তবে সে জন্য তাঁর জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ণ হয়নি এতটুকু। এ দিন মেয়ে সুভাষিনী আলি বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অসুস্থ ছিলেন মা। অসুস্থ শরীরেও ক্লিনিকে গিয়ে রোগী দেখছিলেন।” বলে চললেন সুভাষিণী... কাউকে ফিরিয়ে দিতেন না তিনি, যে আসতেন তাঁরই চিকিৎসা করতেন লক্ষ্মী। সে টাকা থাকুক আর না-ই থাকুক।

কোকরাঝাড় সংঘর্ষে এলাকায় জারি হল কাফুর্
গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে নামনি অসমে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমের বড়োল্যান্ড এলাকায় জারি রয়েছে কার্ফু। আরও বেশ কিছু এলাকায় রাতে কার্ফু বলবৎ করা হয়েছে। কোকরাঝাড়ের পাশাপাশি হাঙ্গামা ছড়িয়েছে চিরাং, ধুবুরিতেও। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয়েছে সেনা। অবরোধের জেরে আজ দু’টি রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন উত্তরবঙ্গে আটকে পড়ে। ট্রেনগুলি রাতেও নিরাপদ এলাকায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ট্রেনে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। কাল সকালে ট্রেনগুলি ফের গন্তব্যের দিকে রওনা দেবে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুব্রত হাজং বলেন, “একই পরিস্থিতি অসমেও। গুয়াহাটি এবং ডিব্রগড় থেকে যে সমস্ত ট্রেন রওনা হওয়ার কথা, সেগুলিও আটকে পড়েছে। হাওড়াগামী কামরূপ এক্সপ্রেস এবং নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনে। যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” পুলিশ জানায়, ধুবুরির গৌরীপুর এবং গোলোকগঞ্জে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকা হয়েছিল। বন্ধ সমর্থকরা জোর করে দোকান বন্ধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। গৌরীপুরে বড়ো পিপল্স ফ্রন্টের দফতরে লুঠপাট চালানো হয়। সাপটগ্রামে ভাঙচুর করা হয় একটি বিএলটি শিবির। কোকরাঝাড় ও গোসাইগাঁওয়ের মধ্যবর্তী প্রতাপখাট এলাকায় বন্ধ সমর্থকরা রাজধানী এক্সপ্রেস থামিয়ে দেয়। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত ৯ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বিকেলে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শ’চারেক লোকের জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে কয়েকজন জখম হয়েছেন। পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী চন্দন ব্রহ্ম কোকরাঝাড়ে রয়েছেন। আজ বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন ও গণবণ্টন মন্ত্রী নজরুল ইসলামও ঘটনাস্থলে পৌঁছে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানান। বিরোধী দলনেতা বদরুদ্দিন আজমল রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি তুলেছেন। আমসু ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে। বিপিএফ প্রধান হাগ্রামা মহিলারিও মনে করছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ লাইনেই বিস্ফোরণ, হত ২
গিরিডির মুফ্ফসিল থানার পুলিশ লাইনে মাওবাদীদের তাণ্ডব। চন্দন পালের তোলা ছবি।
ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের আক্রমণের নিশানায় চলে এল কাগজে-কলমে সুরক্ষিত পুলিশ লাইনও। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা গিরিডির মুফ্ফসিল থানার পুলিশ লাইনে ঢুকে গত কাল গভীর রাতে বেপরোয়া তাণ্ডব চালাল সশস্ত্র এক দল মাওবাদী জঙ্গি। বিস্ফোরণে ঘুমন্ত অবস্থাতেই প্রাণ হারান দুই নির্মাণকর্মী। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও পাঁচজন শ্রমিক। পরের পর শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জঙ্গিরা চুরমার করে দিয়েছে ওই থানার পুলিশ লাইনের একটি নির্মীয়মান ভবন। বিস্ফোরণে ধসে পড়েছে নির্মীয়মান ভবনের চারটি ঘর। কুড়ি পঁচিশ মিনিট ধরে অবাধে তাণ্ডব চালিয়ে বিনা বাধাতেই জঙ্গিরা এলাকা ছেড়ে যায়। গিরিডির পুলিশ সুপার ওঙ্কার অমল বেণুুকান্ত জানিয়েছেন, গিরিডির মুফ্ফসিল থানার পুলিশ লাইনের নির্মীয়মান ভবনে গত কাল রাত একটা নাগাদ মাওবাদী জঙ্গিরা চড়াও হয়। তখন ওখানকার নির্মাণকর্মীরা ঘুমোচ্ছিলেন। জঙ্গিরা নির্মাণ এলাকায় পরের পর বিস্ফোফরণ ঘটায়। ধসে পড়ে নির্মীয়মান ভবনের চারটি ঘর। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান দুই নির্মাণকর্মী। তাঁরা হলেন: বাবু হাঁসদা এবং ফুলচাঁদ হাঁসদা। দু’জনেরই বয়স ২৫-এর কোঠায়। দু’জনেই প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বাসিন্দা। গত কাল রাতের এই ঘটনায় শুধু পুলিশ লাইনই নয়, ঝাড়খণ্ডের থানাগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ লাইনে থাকা সাধারণ নিচুতলার পুলিশকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও। এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি রাজ্য পুলিশের কর্তারা।

যৌথ বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ, নিহত দুই জওয়ান
রাজধানী রাঁচি লাগোয়া খুঁটির জঙ্গলে আজ ভোর থেকে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত লড়াইয়ে যৌথ বাহিনীর দুই জওয়ান নিহত হয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও পাঁচ জওয়ান। তাঁদের মধ্যে তিন সিআরপি জওয়ানের অবস্থা সঙ্কটজনক। প্রাথমিক ভাবে এই সংঘর্ষ সিআরপি-র দুটি দলের মধ্যে ‘ক্রস ফায়ারিং’ বলে মনে করা হচ্ছিল। পরে পুলিশ কর্তারা সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। রাজ্য পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, জঙ্গিদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর লড়াই চলছে পশ্চিম সিংভূম এবং খুঁটি জেলার সীমানা লাগোয়া বোকোপ জঙ্গলে। মৃত দুই সিআরপি জওয়ানের নাম বীরেন্দ্র শর্মা এবং সন্তোষ কুমার। দু’জনেই পটনার বাসিন্দা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জওয়ানদের মধ্যে তিন জনের প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁদের প্রচুর রক্ত দিতে হচ্ছে। তিন জনের রক্তই নেগেটিভ গ্রুপের। তা সংগ্রহেরও চেষ্টা চলছে। দুই জওয়ানের মৃত্যু এবং পাঁচ জওয়ানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে সকাল থেকেই বিভ্রান্তি ছড়ায়। প্রথমে জঙ্গিদের গুলিতে জওয়ানদের হতাহতের খবর দেওয়া হয়। অল্প সময় পরেই রাজ্য পুলিশের একটি সূত্রে জানানো হয়, অন্ধকারে গভীর জঙ্গলে যৌথ বাহিনীর জওয়ানদের মধ্যেই গুলির লড়াই হয়েছে। তাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে খুঁটির বোকোপ জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর এ দিনের সংঘর্ষের বিশদ তথ্য নিয়ে দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসেন পুলিশ এবং সিআরপি-র পদস্থ অফিসাররা। তাঁরা জওয়ানদের মধ্যে ‘ক্রস ফায়ারিং’-এর সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। রাজ্য পুলিশের প্রধান মুখপাত্র সত্যনারায়ণ প্রধান বলেন, “মাওবাদী জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই হওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে। ওখানে জঙ্গিরা যে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তারও।’’ তবুও আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন যৌথবাহিনীর পদস্থ কর্তারা।

কলকাতার যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু রাঁচিতে
ধানবাদ শহরের একটি হোটেলে, কলকাতার বাসিন্দা এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম তেজেন্দর সিংহ রাঠোর (২৫)। আজ সকালে ধানবাদ শহরের একটি হোটেলের ঘরের দরজা ভেঙে বিছানার উপর থেকে ওই যুবকের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৯ জুলাই তেজেন্দর ওই হোটেলে এসে উঠেছিলেন। হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া ভিজিটিং কার্ড এবং অন্যান্য কাগজপত্র প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করে পুলিশ জানায়, ওই যুবক রাঁচিতে কোনও বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। কলকাতার বাসিন্দা হলেও সেখানকার নির্দিষ্ট কোনও ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এমনকী ওই যুবক সরাসরি কলকাতা থেকে ধানবাদের হোটেলে এসে উঠেছিলেন, না কি রাঁচি থেকে ধানবাদে এসেছিলেন, সে সম্পর্কেও বিশদ কোনও তথ্য পুলিশ পায়নি। পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের বাবার নাম দয়াল সিংহ রাঠোর। তিনি কোল ইন্ডিয়ার পদস্থ আধিকারিক। একমাত্র ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর ওই পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

টিএসআরের গুলিতে হত জঙ্গি
রাজ্যের টিএসআর বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। গতকাল ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে গণ্ডাছড়ার রাইস্যাবাড়ি অঞ্চলে জওয়ানরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পম্পুছড়ার মাঝিমণি পাড়ায় তল্লাশি চালায়। জওয়ানদের দেখে জঙ্গিরা পাহাড়ের টিলার উপরে একটি ঝুম খেত থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে। জওয়ানরাও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পর জঙ্গিরা গভীর জঙ্গলে পালায়। এই ঘটনায় এনএলএফটি (বিএম) গোষ্ঠীর এক কট্টর জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। তার বয়স ২৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে। নিহত জঙ্গির নামধাম এখনও জানা যায়নি। পরনে ছিল জলপাই রঙের পোশাক। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি এ কে ৪৭ রাইফেল, দু’টি ম্যাগাজিন, ৫০ রাউন্ড গুলি ও দু’টি গ্রেনেড। জঙ্গি-টিএসআর সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পরই ধলাইয়ের এসপি এল ডার্লং বাহিনী নিয়ে রাইস্যাবাড়ি সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় পৌঁছে যান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে রাইস্যাবাড়ি এলাকায় চাঁদা সংগ্রহের উদ্দেশে এসেছিল ৫-৭ জঙ্গির দলটি। গত মাসেই জঙ্গি-কার্যকলাপে জড়িত থাকার সন্দেহে ৫ জনকে ত্রিপুরা পুলিশ গ্রেফতার করে। সে সময়েই পুলিশ জানতে পারে এনএলএফটি জঙ্গিদের আনাগোনা বাড়ছে ত্রিপুরায়।

শিশুর অধিকার রক্ষায় কমিশন
শিশুর অধিকার রক্ষায় কমিশন গড়ল রাজ্য সরকার। শিশুদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনও অভিযোগ উঠলে ওই কমিশন তা খতিয়ে দেখবে এবং একই সঙ্গে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করবে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শিশু কল্যাণ দফতরের অধীনে কাজ করবে ওই কমিশন। কারা এর সদস্য হবেন, ক’জন সদস্য থাকবেন, তাঁরা কী ভাবে কাজ করবেন, সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী ও আধিকারিকেরা তা ঠিক করবেন।” তা হলে কি জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের অধিকার খর্ব করা হল? সরাসরি জবাব এড়িয়ে সমাজকল্যাণ দফতরের এক কর্তা বলেন, “মহিলা কমিশনের আদলেই কাজ করবে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন।”

রাত দশটায় বার বন্ধের নির্দেশ
গুয়াহাটির রাজপথে দলবদ্ধ ভাবে যুবতীর শ্লীলতাহানির পর জেলাপ্রশাসন বার ও পাবগুলির ওপরে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই সঙ্গে কয়েকটি পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। যেমন, রাত দশটার পর বার ও পাব খোলা রাখা যাবে না। প্রতিটি বারে সিসিটিভি বসাতে হবে। বেসরকারি রক্ষী নিয়োগেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে এই বিষয়গুলি রূপায়ণ করতে হবে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই সিদ্ধান্ত বলবৎ করার ব্যাপারে জেলাগুলিকে তা রূপায়ণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কাছাড়ের জেলাশাসক হরেন্দ্রকুমার দেবমহন্ত জানান, জেলার বারগুলিতে যারা সেখানে আসছে-যাচ্ছে, তাদের নাম-ঠিকানা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হোটেল-রেস্তোরাঁয় শিশুশ্রমিক আইন পালনের জন্য জেলা প্রশাসন নির্দেশ জারি করেছে। জেলাশাসক আশুতোষ অগ্নিহোত্রী জানান, ১৪ বছরের কমবয়সিদের কাজে লাগানো আইনবিরুদ্ধ। তা জেনেও শহরের বহু রেস্তোরাঁয় শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। দশ দিনের সময়সীমা বেঁধে প্রশাসন জানিয়েছে, যেখানে শিশুশ্রমিক পাওয়া যাবে, লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

ধুবুরি-বিলাসীপাড়ায় গোষ্ঠীবিবাদ, কার্ফু জারি
অসমের কোকরাঝাড়ে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জের গড়াল ধুবুরিতেও। সোমবার ধুবুরি ও বিলাসীপাড়া মহকুমায় সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কার্ফু জারি করা হয়েছে। কোকরাঝাড়ে গোলমালের প্রতিবাদে দুটি ছাত্র সংগঠনের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধকে কেন্দ্র করে এ দিন ধুবুরিতে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বনধ সমর্থনকারীরা জোর করে দোকানপাট বন্ধ করতে গেলে গোলকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে গোলমাল হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। গৌরীপুরের আলমগঞ্জে সিআরপিএফ ও বিএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ বনধ সমর্থক জখম হন। ধুবুরি শহরে একটি ছাত্রাবাসে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। দমকল কর্মীরা সেখানে গেলে দুষ্কৃতীরা বাধা দেয় বলেও অভিযোগ। তার পরেই সন্ধ্যা থেকে কার্ফু ঘোষণা করা হয়।

বৃষ্টি চেয়ে গান গাইলেন মাধুরী দীক্ষিত
তুমুল বৃষ্টি পড়ছে। শাহরুখ খানের সঙ্গে প্রাণ খুলে নাচছেন মাধুরী দীক্ষিত। ছবির নাম ‘দিল তো পাগল হ্যায়’। আর গানটা হল ‘চাক ধুম ধুম’। বৃষ্টি নামাতে এ বার নিজের ছবির সেই গানেরই সাহায্য নিলেন খোদ মাধুরী। বৃষ্টি নামাতে দেশ জুড়ে বিশেষ প্রার্থনা আর যজ্ঞের ব্যবস্থা তো ছিলই। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বলিউডের ছোঁয়াও। বরুণ দেবতাকে তুষ্ট করতে স্বয়ং মাধুরী দীক্ষিত নেনে বৃষ্টির গান গাইলেন। একটি রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে গত কাল পুণে এসেছিলেন মাধুরী। সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রার্থনায় সামিল হন বলিউডের এই অভিনেত্রী। দর্শকাসনে বসে সেই গান শুনলেন মাধুরীর স্বামী শ্রীরাম নেনেও। এ বছর পুণেতেও খুবই কম বৃষ্টি হয়েছে। তাই পুণেবাসীরা চাইছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বৃষ্টি নামুক তাঁদের শহরে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মোট ৩৪ হাজার মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করেছে কর্নাটক সরকার। কর্নাটকের ত্রাণ দফতরই জানিয়েছে, গত ৪২ বছরে সে রাজ্যে এ রকম অনাবৃষ্টির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তাই বৃষ্টি নামাতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে কর্নাটক সরকার।

অস্ত্র-সহ ধৃত দুই
পুলিশ হেফাজত থেকে পালানো এক অপরাধীকে গ্রেফতারের পরে তার দলের আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল মুঙ্গেরের পুলিশ। তাদের থেকে তিনটি পিস্তল, দু’টি অর্ধ-নির্মিত পিস্তল এবং ২টি কার্তুজ মিলেছে। জামালপুরের এসডিপিও রঞ্জন কুমার জানান, অমিত মণ্ডল নামে ধৃত এক তোলাবাজকে জেরা করে শিবু, প্রভাকর নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ক্ষতিপূরণ ২ লক্ষ
ফল্গু নদীতে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে যে ছয় জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের পরিবারের জন্য দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে বিহার সরকার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা সকলেই নালন্দা জেলার বাসিন্দা। জেলাশাসক সঞ্জয় অগ্রবাল বলেন, “সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”

গরহাজির তৃণমূলও
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের সৌজন্যে আজ নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। সেখানে দেখা গেল না তৃণমূলের কোনও নেতাকেই। এ দিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে প্রতিভা পাটিলের বিদায়ী সংবর্ধনাতেও অনুপস্থিত রইলেন তৃণমূল সাংসদেরা। তবে দুপুরে এক বার সেন্ট্রাল হল ঘুরে আসেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সাত দিন ধরে সংসদে সেন্ট্রাল হলে একটি ‘স্ক্র্যাপবুক’ রাখা ছিল। উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতিভা পাটিলের ভূমিকার কথা সেখানে লিখবেন বিভিন্ন দলের নেতারা। সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ দুপুর বারোটায়। ঠিক ১১.৫৫ মিনিটে সেন্ট্রাল হলে পৌঁছন সুদীপবাবু। দলের তরফে শুভেচ্ছা বার্তা জানান প্রতিভা পাটিলকে। সংসদের কর্মীরা বলছেন, একেবারে শেষ দল হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন দিয়েছিল মমতা। তেমনি বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকেও দল হিসাবে ওই খাতায় শেষ শুভেচ্ছা জানাল তৃণমূল।

বায়ুসেনার নিরাপত্তা প্রণবের শপথে
শুধু সেনাবাহিনীই নয়, বুধবার প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শপথ অনুষ্ঠানে বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে বায়ুসেনাও। তৈরি রাখা হবে ওএসএ-একে এবং পেচোরা ক্ষেপণাস্ত্র। কাছের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তৈরি থাকবে সুকোই-৩০এমরেআই এবং মিগ-২১। ওই অনুষ্ঠানের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করতে আজ বৈঠক হল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। বুধবার সকালে সওয়া ৯টা নাগাদ নিজের বাসভবন থেকে বেরিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন প্রণব। যাত্রাপথ, রাইসিনা হিল ও সংসদ ভবন চত্বরের নিরাপত্তার জন্য শুধু সেনা প্রহরাই থাকবে না, নজর রাখবে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও।

বিবস্ত্র করে হেনস্থা তরুণ-তরুণীকে
অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, এই অভিযোগে স্থানীয় পঞ্চায়েতের নির্দেশে তাঁদের বিবস্ত্র করে ‘শাস্তি’ দেওয়া হল। এমনকী মাথা ন্যাড়া করে গাছের সঙ্গে বেঁধেও রাখা হয়। উত্তরপ্রদেশের কারকোলি গ্রামের ঘটনা। পঞ্চায়েতের নির্দেশেই ওই তরুণ-তরুণীকে এ ভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। কয়েক জন পুলিশ জখম হন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই বিবাহিত তরুণীর সঙ্গে স্থানীয় এক তরুণ পালিয়ে যান। ওই তরুণীর আত্মীয়রা পাশের একটি গ্রামে তাঁদের দেখতে পেয়ে ধরে আনেন।

মারুতি কর্তার স্ত্রীর অভিযোগ
মারুতি সুজুকির (ইন্ডিয়া) পানেসরের কারখানায় উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি কর্তৃপক্ষ। আগে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটলেও খবর রাখেনি শ্রমিক অসন্তোষের। যার জেরেই তাঁর স্বামী ও সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার (মানব সম্পদ) অবনীশকুমার দেবকে প্রাণ হারাতে হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা প্রসাদ দেব। সুপর্ণা এ দিন জানিয়েছেন, কারখানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকাঠামোই খুব দুর্বল ছিল। শ্রমিক অসন্তোষ যে রকম খারাপ জায়গায় পৌঁছেছিল তা বিচার করে কারখানার মধ্যে কর্তাদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা বা তাঁদের জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা উচিত ছিল কারখানা কর্তৃপক্ষের। যা হলে এ রকম ঘটনা ঘটত না। অবশ্য, অবনীশের মৃত্যুর পর মারুতি কর্তৃপক্ষ ও হরিয়ানা সরকার যে ভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুপর্ণা।

কিশোরী বিক্রির চেষ্টা বানচাল
বিয়ের অছিলায় কিশোরীকে বেচে দেওয়ার ছক বানচাল হল বোকারোর বাবুগ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম এম ভি কুমার। গুজরাতের এই বাসিন্দাকে থানায় আটক করে জেরা করা হচ্ছে। জেরা করা হচ্ছে কিশোরীর বাবাকেও।

বিধবা ভাতা চুরি মথুরা ও বৃন্দাবনে
সরকারি ভাতা পাচ্ছেন না মথুরা ও বৃন্দাবনের বিধবারা। তার ফলে মন্দিরের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে আধপেটা খেয়ে বেঁচে আছেন তাঁরা। চলতি বছরের মে মাসে বিধবাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কথা জানতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তদন্ত কমিটি সমীক্ষা করে জানায়, ৫ থেকে ১০ হাজার বিধবা বৃন্দাবনের আশ্রমে থাকেন। তাঁদের নামে সরকারি ভাতা এলেও সেই তাঁরা টাকা পান না কেউই। সেই টাকা নাম ভাঁড়িয়ে তুলে নিয়ে যায় অন্য লোক।

সরকারি উদ্যোগে রাখিবন্ধন উৎসব
রাজ্য জুড়ে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করবে যুব কল্যাণ দফতর। যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সোমবার মহাকরণে এ কথা জানান। ওই দফতর সূত্রের খবর, রাখি পূর্ণিমার দিন রাজ্যের ৩৪১টি ব্লক এবং ১৩৩টি পুর এলাকায় রাখিবন্ধন উৎসব হবে। সরকারের উদ্যোগে এই উৎসব হবে কলকাতার ১৫টি বোরো এলাকাতেও। তবে কলকাতায় কেন্দ্রীয় ভাবে উৎসব হবে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে। মন্ত্রী বলেন, “সব জায়গাতেই রবীন্দ্রনাথের ছবিতে মালা দিয়ে উৎসব শুরু হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.