অবশেষে গ্রেফতার হল শ্লীলতাহানি কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত অমরজ্যোতি কলিতা। গত ৯ জুলাই রাতে গুয়াহাটিতে প্রকাশ্য রাস্তায় যে কয়েক জন মিলে এক তরুণীকে নিগ্রহ করেছিল, তার মধ্যে অমরজ্যোতি ছিল প্রধান। ঘটনার পর থেকেই সে গা ঢাকা দিয়েছিল। অসম ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের যৌথ অভিযানে আজ ধরা পড়েছে সে।
যদিও অমরজ্যোতির গ্রেফতারি নিয়ে আজ দিনভর নানা গুজব ছড়িয়েছে। কখনও কলকাতা, কখনও হাওড়া থেকে অমরজ্যোতির গ্রেফতার হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়। কোথাও বলা হচ্ছিল, থানায় গিয়ে নিজেই আত্মসমর্পণ করেছে অমরজ্যোতি। কিন্তু বিকেলের দিকে খবর মেলে, পুলিশের জালেই ধরা পড়েছে অমরজ্যোতি। কামরূপ মহানগরের এসএসপি আনন্দপ্রকাশ তিওয়ারি জানান, বারাণসী পুলিশ দিন দু’য়েক আগেই অমরজ্যোতির বিষয়ে অসম পুলিশকে খবর দিয়েছিল। আজ হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি একটি এলাকা থেকে ধরা পড়ে অমরজ্যোতি। অসমের ডিজিপি জয়ন্ত নারায়ণ চৌধুরীও অমরজ্যোতির গ্রেফতারির খবরটি নিশ্চিত করেছেন। আজ তিনি বলেন, “হ্যাঁ, মূল অভিযুক্ত কলিতাকে বারাণসী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরা চলছে।” উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আই জি (আইন শৃঙ্খলা, বারাণসী) বি পি সিংহও জানিয়েছেন, লঙ্কা এলাকার পুলিশ অমরজ্যোতিকে গ্রেফতার করেছে।
অসম পুলিশ সূত্রে আজ জানানো হয়েছে, দিন কয়েক আগেই হাওড়া স্টেশনের সিসি টিভিতে অমরজ্যোতির ছবি উঠেছে বলে প্রথমে খবর আসে। অমরজ্যোতিকে ধরার জন্য অসম পুলিশের একটি দলকে কলকাতায় পাঠানোও হয়েছিল। তবে, তারা অমরজ্যোতি সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য পায়নি।
আদালত থেকে ট্রানজিট রিম্যান্ড পাওয়ার পরেই অসম পুলিশ অমরজ্যোতিকে গুয়াহাটি নিয়ে আসবে। আপাতত উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি বিশেষ দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অসম সরকারের অধীনস্থ সংস্থা অ্যামট্রনের কর্মী অমরজ্যোতি কলিতাকে ৯ জুলাইয়ের ঘটনার পরেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। জি এস রোডের শ্লীলতাহানি কাণ্ডে শনাক্ত হওয়া ১৯ জনের মধ্যে এই নিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। |