পরস্পর-বিরোধী শিবিরের অন্যতম শরিক দু’দল। কিন্তু জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র বা বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি-নীতির প্রশ্নে প্রয়োজনে তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে জেডিইউয়ের দ্বিধা নেই। আজ তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন জেডিইউ নেতা শরদ যাদব।
 ইউপিএ-র শরিক দল হয়েও বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির প্রশ্নে বিরোধিতার রাস্তাই বেছে নিয়েছিল তৃণমূল। আজ শরদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল ইউপিএ-র একমাত্র শরিক যারা ওই বিলের বিরুদ্ধে ছিল। গোটা বিষয়টিতে মমতার ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।” ইতিমধ্যেই মুলায়ম সিংহ ও বাম দলগুলিও ওই বিলটির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কিন্তু বিজেপি এখনও নিশ্চুপ। আজ ঘনিষ্ঠ মহলে বিজেপি নেতৃত্বের সমালোচনায় সরব হন শরদ। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি-র সঙ্গে সাময়িক সন্ধি করেছে জেডিইউ। কিন্তু, এই বিল নিয়ে ফের ফাটল দেখা দিচ্ছে বিজেপি-জেডিইউ সম্পর্কে।
সংসদের আসন্ন অধিবেশনে নতুন করে বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায়ে বিদেশি লগ্নি বিলটি নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছেন সনিয়া-মনমোহন। সরকারের এই পদক্ষেপ আঁচ করে ইতিমধ্যেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। জেডিইউ মনে করছে, এনডিএ-র বড় শরিক হওয়া সত্ত্বেও বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নিশ্চুপ থাকায় সমাজবাদী পার্টি-সহ বাম দলগুলি রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে জেডিইউ যে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হতে চলেছে তা আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন শরদ।
শরদের কথায়, “জেডিইউ ওই বিলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে।” বিজেপি মুখপাত্র নির্মলা সীতারমণ অবশ্য বলেছেন, “ইউপিএ ওই বিলটি নিয়ে অনাবশ্যক তাড়াহুড়ো করছে। বিজেপি প্রথম থেকেই ওই বিলটির বিপক্ষে।”
মমতাকে প্রশংসার পাশাপাশি আজ বিলটি নিয়ে ইউপিএ-র অন্য শরিক এনসিপি-র সমালোচনায় সোচ্চার হন ওই জেডিইউ নেতা। এনসিপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ারকে আরও দায়িত্বশীল হতে অনুরোধ করেন তিনি। |
