এক দিকে খেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চাষ বয়কট, অন্য দিকে সেই দাবির প্রতিবাদে চাষিদের বয়কট, এই নিয়ে মহকুমার কালনা ১, কালনা ২ ও মন্তেশ্বর- এই তিন ব্লকে সমস্যা চলছিলই। সোমবার মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে বৈঠকের পরে ফের ব্লক স্তরে সর্বদলীয় বৈঠকের দিন নির্ধারিত হল আজ। সোমবার ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক ছাড়াও এসডিপিও, সিআই, সহকারি শ্রম-আধিকারিক, চার বিধানসভার বিধায়ক-সহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলি ও সিপিএম প্রভাবিত কৃষক সংগঠন কৃষক সভার প্রতিনিধিরা। যদিও এই বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। বৈঠকে হাজির ছিলেন পূর্বস্থলীর (দক্ষিণ) বিধায়ক স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, “চাষি ও খেতমজুর, দুই তরফেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হবে।” মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচিরও দাবি, আশা করা যায়, ব্লক স্তরের বৈঠকে সমাধানসূত্র মিলবে।”
সম্প্রতি মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এই তিন ব্লকে আন্দোলনে নামেন খেতমজুরেরা। ন্যূনতম সরকারি মজুরির দাবিতে চাষের কাজ বয়কট করেন তাঁরা। খাবার-সহ খেতমজুরদের সরকার নির্ধারিত ১৭১ টাকা মজুরি পাওয়ার কথা। অথচ বিভিন্ন গ্রামে খেতমজুরেরা মাত্র ১০৫ থেকে ১২৫ টাকা মজুরি পাচ্ছেন। অন্য দিকে, এক লাফে এতটা মজুরি দিতে রাজি নন চাষিরা। তাঁদের দাবি, সার, কীটনাশক-সহ চাষের উপকরণের দাম বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় ফসলের দাম বাড়েনি। এক লাফে এতটা মজুরি বাড়লে সমস্যায় পড়বেন তাঁরা। তাঁদের একাংশের আরও দাবি, সরকার নির্ধারিত ১৭১ টাকা দৈনিক মজুরি চাইলে খেতমজুরদেরও সরকারি নিয়মানুযায়ী আট ঘন্টা (বিরতির সময় সহ) মাঠে কাজে থাকতে হবে। এইসব দাবিতে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পথ অবরোধের রাস্তাতেও নামেন চাষিরা। কালনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে ১৮ জুলাই কালনা থানায় সর্বদলীয় বৈঠক করেন কালনা ২ ব্লকের বিডিও গৌরাঙ্গ ঘোষ। সিপিএমের প্রতিনিধিরা আলোচনা চলাকালীন ওই বৈঠক বয়কট করলে আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। ফের আলোচনার দিন ঠিক হয় সোমবার, ২৩জুলাই। কিন্তু এ দিনও ওই বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। |