বাড়ির পিছনের জঙ্গল থেকে এক বালকের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল সোমবার দুপুরে। বুদবুদের জেকে নগর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আকাশ তামাং (৬)। শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বালকটিকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটকও করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আকাশ স্থানীয় জেকে নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা শ্রবন তামাং পেশায় দিন মজুর। তিনি জানান, শনিবার বিকালে খেলতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় আকাশ। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেও সে না ফেরায় প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হয়। ফোন করা হয় আশপাশের গ্রামের আত্মীয়দের বাড়িতেও। কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি। শেষে রবিবার বুদবুদ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। |
সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ আকাশদের বাড়ির পিছনের জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন। তখনই পচা দুর্গন্ধ পান তাঁরা। প্রথমে কোনও ছোট প্রাণীর পচাগলা দেহের দুর্গন্ধ ভাবলেও ক্রমশ তা বাড়তে থাকায় তাঁদের সন্দেহও বাড়তে থাকে। খুঁজতে গিয়ে একটি পুকুরের পাশে এক বালকের পচাগলা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। ফিরে এসে শ্রবণবাবুকে বিষয়টি জানান। খবর যায় পুলিশের কাছেও। শ্রবণবাবুরা লোকজন নিয়ে জঙ্গলে গিয়ে দেখেন, মৃতদেহটি আকাশের। প্রতিবেশীরা বলেন, ফুটফুটে আকাশের এমন পরিণতি হতে পারে তা তাঁরা স্বপ্নেও ভাবেননি। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। তবে আকাশকে কে খুন করেছে বা কী কারণে খুন করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রবিবার দুপুরে পাড়ার খুদেরা জঙ্গলের ভিতরে পাড়ারই এক যুবককে ঘুরতে দেখেছিল। এমনকী যে পুকুরের জলে আকাশের দেহ মেলে সেই জলে হাত ধুতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরপরেই ভদু থাপা নামে ওই যুবককে সন্দেহ করে চেপে ধরেন বাসিন্দারা। তার কথায় অসঙ্গতি মিলেছে দাবি করে ভদুকে পুলিশের হাতেও তুলে দেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবককে আটক করে খুনের কারণ বা তার কোনও বিকৃত মানসিক প্রবৃত্তি আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ঘটনায় অন্য কারও থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। |