আমাদের চিঠি

ধ্বংসের মুখে প্রাথমিক বিদ্যালয়
ষাট বছর আগে ১৯৫৩-য় ফুলসরা গ্রামের বাসিন্দারা ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পরিত্যক্ত কাছারিবাড়িতে স্থাপন করেছিলেন ফুলসরা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। গাইঘাটা পূর্ব চক্রের আওতাধীন এই বিদ্যালয়টি ২০০৪ থেকে উপযুক্ত পরিচর্যার অভাবে আজ প্রায় ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে। প্রাচীন ঐতিহাসিক জরাজীর্ণ কাছারি বাড়ি, যেটি বর্তমানে শ্রেণীকক্ষ, সংস্কারের অভাবে যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। ওই বিপজ্জনক অবস্থাতেই প্রতি দিন ক্লাস করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। যার নিট ফল হিসেবে ছাত্র সংখ্যা কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই স্কুল ছেড়ে এলাকার ছাত্রছাত্রীরা দূরের স্কুলে যেতে বাধ্য হয়। নতুবা পড়া ছেড়ে দেয়। বছর বছর বাড়ে স্কুলছুটদের সংখ্যা।
ভাঙা কল, ভাঙা স্কুল বাড়ি, ঝোপের মধ্যে শৌচাগার।
বিদ্যালয়টির শ্রেণীকক্ষের পুব দিকের ঘরে জানলা নেই, দরজাগুলি ভাঙা, পশ্চিম দিকের ঘর মেরামতির অভাবে সম্পূর্ণ ধ্বংস হতে চলেছে। নেই বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা। বহু দিনের পুরনো একটি শৌচাগার ঝোপঝাড়ে ঘেরা এবং ব্যবহারের অনুপযুক্ত। পঞ্চায়েত সমিতি শৌচাগার নির্মাণের অর্থ মঞ্জুর করেছে, গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় দিয়েছেন জায়গা। তবু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে তা মঞ্জুর করেনি। হাত ও থালা-বাসন ধোয়ার জন্য শিশুদের পাশের পুকুরে যেতে হয়। কয়েক মাস আগে ৭০ ফুটের একটি কল পোঁতা হলেও তার জল খাওয়ার অনুপযুক্ত। তা দিয়েই মিড-ডে মিলের রান্না হয়।
মিড-ডে মিলের চাল যে ঘরটিতে থাকে, সেটি অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও স্যাঁতস্যাঁতে। সাপ ও ইঁদুরের সহাবস্থান সেখানে। ২০০৬-০৭ এবং ২০০৯-১০ দুই আর্থিক বর্ষের সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকা খরচ করে ছয় বছর ধরে দু-কামরার একটি ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে। বাড়িটি আজও ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার করতে না দেওয়ায় প্রবেশপথটি বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছের জঙ্গলে ভর্তি হয়ে গিয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যালয়ের স্কুল পরিদর্শককে গ্রামবাসীরা বারবার জানানো সত্ত্বেও তাঁরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। ছাত্রছাত্রীদের উপযুক্ত পরিবেশে পড়ানো এবং স্কুলছুট ছাত্রদের ফিরিয়ে আনার স্বার্থে স্কুলটির উন্নয়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন রাখছি।


যাত্রা যন্ত্রণা
পূর্ব রেলের হাওড়া স্টেশনের ১০নং গেটের মধ্য দিয়ে বহু নিত্যযাত্রী স্টেশন চত্বর থেকে বের হন বা ট্রেন ধরার জন্য শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ছোটেন। সেই গেট সংলগ্ন কয়েক গজ পায়ে চলা পথের দীর্ঘ দিনের বেহাল অবস্থা কী করে রেল প্রশাসন ভুলেও এক বার দেখে না? পথটির দু-ধারে ব্যবসায়ীরা তাঁদের পসরা সাজিয়ে পথটি সংকীর্ণতম এবং দমবন্ধ হওয়ার মতো অবস্থায় সারা বছর রেখেছেন। এবং চলার পথে দুটি বড় গাছ বিশেষ অন্তরায়। আর সর্বোপরি পথটি ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা। দুর্বল সবল সকলের পক্ষেই নিরাপদে স্টেশনে আসা-যাওয়া করা মুশকিল। রেল প্রশাসন এ ব্যাপারে একটু সদয় হলে নিত্যযাত্রীদের এই নিদারুণ কষ্টের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।


খুচরোর সমস্যা মেটান
বেশ কিছু দিন শহরে, গ্রামের দোকানে, হাটে-বাজারে, বাস-ট্রাম সহ সর্বত্র খুচরো পয়সার জন্য সকলকেই অসুবিধের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ফলাফল গড়িয়ে যাচ্ছে পরস্পরের মধ্যে অসম্মানজনক কথাবার্তা এবং তর্ক-বিতর্কের। কিন্তু কোনও বাকবিতণ্ডার মধ্যে না গিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এই সমস্যার সমাধান করে নেওয়া যেতে পারে। এ রকম কিছু কি চেষ্টা করলে করা যায় না?


ভাঙা রাস্তা
হাওড়া জেলার আমতা ও উদয়নারায়ণপুর থানার শেষ প্রান্তে অবস্থিত পেঁড়ো (কবি রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের জন্মস্থান) থেকে কলেজ রোড ভগ্নপ্রায়। প্রায় তিন দশক আগে এটি তৈরি করা হয়েছিল। রাস্তাটি আজও ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। মান্ধাতার আমলের পিচ আর নেই। রাস্তাটি জরাজীর্ণ অবস্থায় বিরাজ করছে। দুটি জেলার তিনটে থানার বহু লোককে এ পথে খানাখন্দে ভরা রাস্তা অতিক্রম করে যাতায়াত করতে হয়। প্রায়ই গাড়ি বিকল হয়ে হয়। প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাই, জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামত করুন।


এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.