সপ্তাহ খানেক ধরে একের পর এক চুরি হচ্ছে বসিরহাট মহকুমা এলাকায়। দোকান-বাড়িতে চুরি তো আছেই, রাস্তা থেকে মোটরবাইকও চুরি যাচ্ছে। এর ফলে, আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। পুলিশ অবশ্য সব ক’টি ঘটনাতেই যুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট থানার নৈহাটিতে ইটিন্ডা রাস্তার পাশে গৌড়ীয় মঠের দরজা ভেঙে শুক্রবার রাতে বিগ্রহের অলঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে মন্দিরের দরজা খুলতে গিয়ে চুরির বিষয়টি জানতে পারেন কর্তৃপক্ষ। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে মঠ কর্তৃপক্ষের দাবি, দু’টি দরজার তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা বিগ্রহের অলঙ্কার-সহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে পালায়।
বসিরহাটের মার্টিন বার্ন রোডের পাশে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে দীর্ঘদিন ভাড়া থাকেন লরির ব্যবসায়ী রাজু শেখ। দিন কয়েক ধরে তিনি সপরিবারে বহরমপুরে নিজের বাড়িতে রয়েছেন। সেই সুযোগে বৃহস্পতিবার রাতে দুষ্কৃতীরা তাঁর ভাড়াবাড়ির ঘরের দরজার তালা ভেঙে যথেচ্ছ লুঠপাট চালিয়ে পালায়। শুক্রবার সকালে বাড়ির মালিকের বিষয়টি নজরে আসে। তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ জানায়, ঘরের মধ্যে সব কিছু তছনছ ছিল। আলমারির লকার ভাঙা ছিল। টিভি, সাইকেল পাওয়া যায়নি। ছড়ানো ছিল গয়নার বাক্স।
শুক্রবার রাতেই বাদুড়িয়ার পুঁড়ো বাজারে হরি বিশ্বাস নামে এক ব্যবসায়ীর সোনার দোকানের শাটার ভেঙে লুঠপাট চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। শনিবার সকালে দোকান খুলতে এসে হরিবাবু অবস্থা দেখে পুলিসকে খবর দেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুষ্কৃতীরা শো-কেস ভেঙে বেশ কয়েক ভরি সোনা-রুপোর গয়না এবং কয়েক হাজার টাকা লুঠ করে। ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বেশির ভাগ রাতেই কোনও না কোনও বাড়ি কিংবা দোকানে চুরি হচ্ছে। তাঁরা পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার দাবি তুলেছেন।
মহকুমা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তদন্ত হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারও করা হচ্ছে। অভিযুক্ত বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশিও চলছে। |