৫ জুলাই খুন হন সুটিয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী বরুণ বিশ্বাস। ওই খুনে জড়িত অভিযোগে ধৃত দেবাশিস সরকারের মোবাইল থেকে ৫ জুলাই তারিখেই ২২ বার ফোন গিয়েছিল দমদমের গোরাবাজার এলাকার একটি মোবাইল নম্বরে। দেবাশিসের মোবাইলের ‘কললিস্ট’ পরীক্ষা করে রবিবার এই দাবি করল সিআইডি।
ঘটনা হল, গোরাবাজার এলাকায় দমদম সেন্ট্রাল জেলেই রয়েছে সুটিয়ায় গণধর্ষণ কাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সুশান্ত চৌধুরী, বীরেশ্বর ঢালি-সহ আরও কয়েকজন। সুশান্তই জেলে বসে বরুণকে খুনের চক্রান্ত করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ ও সিআইডি। তাই দেবাশিস কাকে ফোন করেছিলেন, সে খোঁজই এখন করছেন গোয়েন্দারা।
শনিবার গোপালনগরে দেবাশিসের বাড়ি থেকে তার মোবাইলটি উদ্ধার করে সিআইডি। সেটি চালু করার পরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ৪-৫ জুলাই ওই ফোন থেকেই গোরাবাজার এলাকার একটি মোবাইল নম্বরে বহু বার ফোন করা হয়েছিল। তবে সেই মোবাইলটি জেলের ভিতর থেকে ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তা জানাননি তদন্তকারীরা।
২০০০ সাল নাগাদ গাইঘাটার সুটিয়ায় শুরু হয়েছিল সুশান্ত চৌধুরী, বীরেশ্বর ঢালিদের ‘তাণ্ডব’। সেখানে একের পর এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। ২০০২ সালের পরে এলাকায় ‘প্রতিবাদী মঞ্চ’ গড়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করেন সুটিয়াবাসী। ‘মঞ্চ’-এর সম্পাদক ছিলেন মিত্র ইন্সটিটিউশন (মেন)-এর শিক্ষক বরুণ। বরুণ-হত্যা মামলায় ধৃত দেবাশিস সরকার, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, শুভঙ্কর বিশ্বাসকে রবিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম গৌতম নস্কর। একই মামলায় অভিযুক্ত রাজু সরকার আপাতত জেলহাজতে রয়েছে। বরুণ-খুনে জড়িত সন্দেহে ধরা হয়েছে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকেও। সে রয়েছে সরকারি হোমে।
মামলার সরকারি কৌঁসুলি সমীর দাস এ দিন আদালতকে জানান, তদন্তের কাজ অনেকটাই গুটিয়ে এনেছে সিআইডি। নব্বই দিনের মধ্যেই মামলার চার্জশিট পেশ করা হবে। |