দার্জিলিঙের ম্যাল চৌরাস্তায় খোলা মঞ্চ বানিয়ে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। শনিবার দার্জিলিঙে রাজ্যের মুখ্য সচিব সমর ঘোষ, স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোর্চা নেতাদের বৈঠকের পরে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৯ জুলাই জিটিএ-এর ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা। তার পরে ২ অগস্ট ফল প্রকাশ হবে। সব ঠিক থাকলে দু’দিনের মাথায় ৪ অগস্ট জিটিএ সদস্যদের শপথ নেওয়ার কথা।
এ দিনই কলকাতায় দলীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে জিটিএ ভোটের প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে দিক থেকে দেখলে পাহাড়ের সব কটি আসনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে মোর্চা। তবে তৃণমূল প্রার্থীরা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার না-করায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া রীতি মেনে করতে হবে নির্বাচন দফতরকে। তাই বিধি মেনে জিটিএ ভোট নির্বিঘ্নে সমাপ্ত করার উপরে জোর দিয়েছেন মহাকরণের শীর্ষ কর্তারা। দার্জিলিঙে জিটিএ ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজি সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তাই যে ১৭টি আসনে ভোট হওয়ার কথা, সেখানকার ২৯৩টি পোলিং স্টেশনে ২৯ জুলাই আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে। মুখ্য সচিব বলেন, “জিটিএ গঠনের পরে পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।” |
সরকারি সূত্রের খবর, জিটিএ’র ৪৫টি আসনের মধ্যে ২৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন মোর্চা প্রার্থীরা। তাই ইতিমধ্যেই জিটিএ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সুবাদে মোর্চার তরফেই ম্যালে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তা নিয়ে বিশদে আলোচনার পরে রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্তারা সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেন। রাজ্যের মুখ্য সচিব বলেন, “২৯ জুলাই জিটিএ ভোট। তার পরে জিটিএ গঠন হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জিটিএ গঠন ও পরিচালনার ব্যাপারে সবরকম সহযোগিতা করা হবে।” পাশাপাশি, জিটিএ গঠন হওয়া মাত্রই দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ আইন বিলোপ হয়ে যাবে বলে মুখ্য সচিব জানিয়ে দেন। এ দিন মোর্চার সঙ্গে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি, বিধায়ক ত্রিলোক দেওয়ান, কালিম্পং পুরসভার চেয়ারম্যান এলবি পারিয়ার এবং বসন্ত কুমার রাই যোগ দেন। পরে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, জিটিএ’-এর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় হবে। সে ব্যাপারে সকলেই সহমত হয়েছেন। এ ছাড়া জিটিএ আইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।” |