একসঙ্গে ৭৩ জন মণিপুরি জঙ্গি আত্মসমর্পণ করল। গত কাল ইম্ফলের মন্ত্রীপুখুরিতে, আসাম রাইফেল্স-এর সদর দফতরে মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহের কাছে তারা অস্ত্র জমা দেয়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ডিজি ওয়াই জয়কুমার, আসাম রাইফেল্স-এর আইজি ইউকে গুরুং ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব সুরেশ বাবু। আত্মসমর্পণ করা জঙ্গিদের মধ্যে ১৪ জন ইউএনএলএফ, ৮ জন পিইউএলএফ, ১৩ জন কেওয়াইকেএল, ৭ জন প্রিপাক, ৩ জন কেএনএলএফ, ১৫ জন কেসিপি, ১২ জন পিএলএ ও ১ জন এমএনআরএফ সংগঠনের সদস্য। জঙ্গিরা প্রচুর একে সিরিজের রাইফেল, জি-৩ রাইফেল, লিথড গান, কার্বাইন ও পিস্তল জমা দেয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি আত্মসমর্পণ নয়, ঘরে ফেরা। আজ অবধি সশস্ত্র সংগ্রাম করে জঙ্গিরা কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেনি। ভুল বুঝতে পেরেই এরা ফিরে এসেছে। আশা করি বাকিরাও ফিরবে।”
অন্য দিকে, মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে হত্যালীলা চালিয়ে যাচ্ছে জিএনএলএ। গারো পাহাড়ের রেসুবেলপাড়ায় ৩২ বছর বয়সী বিজ্ঞান শিক্ষক, ডেনিবার্থ জি মোমিনের বাড়িতে হানা দেয় জঙ্গিরা। তারপর প্রকাশ্য রাজপথে স্ত্রী ও মেয়ের সামনে তাঁকে গুলি করে জঙ্গিরা। অভিযোগ, জঙ্গিদের ডাকা ৩০০ ঘণ্টার বন্ধের বিরুদ্ধে মানুষকে প্রতিবাদের সাহস যুগিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, রংরং এলাকা থেকে গত কাল বিকেলে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ মেলে। তাদের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। পুলিশ নিশ্চিত, দুই ব্যক্তিকে অপহরণ করে হত্যা করেছে জিএনএলএ। ঘটনাস্থল থেকে চারটি একে রাইফল ও ২টি ৯ মিলিমিটার পিস্তলের খালি কার্তুজ মেলে। নিহতদের এক জন পশ্চিম গারো হিলের পেডালডোবার স্কুল শিক্ষক চেরাণ খ্রিষ্টান। অন্য জন রিংগাং সাংমা। পরপর শিক্ষক হত্যার নিন্দায় সরব হয়েছেন গারো পাহাড়ের বাসিন্দারা। |