২১-এর কলকাতা |
মন্ত্রীমশাই |
|
অনেক আছে। সবাই পাবেন— গোলাপ জলের সরবত বা সেদ্ধ ছোলার প্লেট হাতে হাতে তুলে দিচ্ছেন মন্ত্রীমশাই। বেলা দশটা থেকে অক্লান্ত। রাজপথের ধারেই জনসেবা মঞ্চ। শুধু এক বার পর্যটন মন্ত্রীর মুখে হাসির ঝিলিক। মমতা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘রচপাল সিংহ, তৃণমূল।’
|
মেট্রোয় দীনেশ |
|
দুপুর ১২টা ১৫। দমদমমুখী মেট্রোয় গুঞ্জন “রেলমন্ত্রী!” রেলমন্ত্রীই। তবে প্রাক্তন। মুচকি হেসে দীনেশ ত্রিবেদী বললেন, “বাড়ি থেকে হেঁটে রবীন্দ্র সদন। যানজট এড়াতে সেখান থেকে মেট্রো।” এসকালেটরে চড়ে পাতাল থেকে বেরিয়েই সোজা সভায়।
|
বদলের নীল |
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের মতো প্রথম সারির নেতাদের সবার পরনে আকাশ-নীল পাঞ্জাবি। স্বয়ং মমতারই নির্দেশে ওই রং। ব্যতিক্রম, এক বিধায়ক। তিনি পরেছিলেন কালচে সবুজ পাঞ্জাবি। দু’বছর আগের সমাবেশে ওই পাঞ্জাবিই ছিল ইউনিফর্ম। সহকর্মীরা মজা করে বললেন, “আপনি কিন্তু দু’বছর পিছিয়ে!” সহাস্য জবাব এল, “ওল্ড ইজ গোল্ড।” |
|
|
চাঁদনি চক স্টেশনের কাছে প্যাটিসের স্পেশাল অফার, “দু’টো কিনলে একটা ফ্রি।” সেখানেও নেত্রী। |
|
পাহাড়ি ভালবাসা |
|
মাঝে মাঝে বৃষ্টি এলেও ভ্যাপসা গরম থেকে নিস্তার নেই। সমাবেশ-মঞ্চে বসা জনপ্রতিনিধিরাও ঘেমে জল। কালিম্পঙের বিধায়ক ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী পরিষ্কার বাংলায় বললেন, “এত গরম! দার্জিলিঙের ঠান্ডা আনতে পারলাম না। কিন্তু ভালবাসা আনতে পেরেছি।”
|
রেনকোট |
|
স্বচ্ছ রেনকোটের পকেটে আঁকা জোড়া ফুল। তাতেই নিজেদের মুড়ে ফেললেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, তাপস রায়রা। সবাই মিলে এমন রেনকোট পেলেন কোথায়? শোভনদেবের সহাস্য জবাব, সিনিয়র নেতাদের জন্য দলের উপহার। বৃষ্টি ভিজলে বয়স্করা অসুস্থ হতে পারেন যে!
|
পেটে পেটে |
|
চর্মচক্ষে দিদিকে দেখার আনন্দে বাদ সাধল পেটের অসুখ। ডাইরিয়া বা গ্যাস-অম্বলে কাহিল হয়ে চিকিৎসা-শিবিরে শয্যাশায়ী অনেকে। শুক্রবার রাত থেকে এ দিন বিকেল পর্যন্ত অন্তত ৮০০ জনের চিকিৎসা হয়েছে।
|
জার্মান সাফাই |
|
জনতা ঘরমুখো হতেই ধর্মতলার দখল নিল অতিকায় গাড়ি। কলার খোসা, এঁটো শালপাতা, কাগজ-প্লাস্টিক সব ছোঁ মেরে তুলে রাস্তায় জল ছিটিয়ে দেওয়া হল। জার্মানি থেকে আনা এই ঝাড়ুদার গাড়ি এখন পুরসভার বড় ভরসা। |
|