যা বৃষ্টি
জয়নাল আবেদিন |
|
হিজিবিজি
নীলাদ্রিশেখর সরকার |
|
|
|
একটাও ছাতা নেই কী নিয়ে বেরোব আজ
থাকতেই হবে বসে জমে যাবে আরও কাজ।
রিমঝিম রিমঝিম রিমঝিম সারা দিন
পাঁকজলে মেলামেশা গা করে ঘিনঘিন।
গাছ পড়ে মেঘ ডাকে সুর ওঠে কান্নার
ঘর ভাঙে চুলো ভিজে কাঠ নেই রান্নার।
চাল ফুটো জল চুঁয়ে ভেজে বইপত্তর
গোখরোটা বেরিয়েছে লাঠি চাই সত্বর।
মাঠঘাট জলময় থইথই থইথই
বড় বাঁধ ভেঙে গেছে ঝুড়ি কই ঝুড়ি কই।
সূর্যের দেখা নেই শুয়ে বসে পারি না
আর নয় আর নয় যা বৃষ্টি ছেড়ে যা। |
|
ফোঁস ফোঁস কামড়ালে নেই কোনও মাপ!
সাপ!
কন্দতে গলা ধরে বাধে শোরগোল!
ওল!
নিজেকে নিজেই জ্বালে দুঃখের তাপ!
পাপ!
বুদ্ধি বাড়বে তত পড়বে যতই!
বই!
এলে দোর খোলে শহর ও নগর!
ভোর!
মিটে যাবে যদি কাজ করে নাও ভাগ!
রাগ! |
|
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য |
রোদ চোর
শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ |
|
ফলের দোকান
দেবব্রত দত্ত |
|
|
|
রোদ চুরি করে নিতে উড়ে এল মেঘ
তবুও সূর্য রইল নিরুদ্বেগ।
উপরে আকাশ, সেও বলল না কিছু
পাখিরা চলল মেঘেদের পিছু পিছু।
পাখিদের তাড়া খেয়ে মেঘ গেল রেগে
বিজলি উঠল মেঘেদের বুকে জেগে
গুরুগর্জনে ফাটলো অনেক বাজি
সূর্য বলল, আমারই তো কারসাজি।
আমিই তো মেঘ তুলে আনি জল থেকে
কিছু দিন দিই এ দিক ও দিক রেখে
বুকের আগুন বেড়ে গেলে মেঘ নেভায়
এ ভাবেই আমি থাকি মানুষের সেবায়। |
|
ফল দোকানে গিয়ে দেখি
কাণ্ড এ কী, ওমা!
মাধ্যমিকের ফল বেরোনর
আগেই সেটা ঠোঙা!
পরীক্ষাটা দিল যারা
রক্ত করে জল,
সেই খাতাতেই ঠোঙা করে
দিচ্ছে আমায় ফল!
ফলওয়ালা বলল, ‘বাবু
কী হয়েছে তাতে?
ঠোঙাতেই তো ফলটা আমি
দিলাম হাতে হাতে।’ |
|
ঋতুবদল
দেবদুলাল কুণ্ডু |
|
উল্টোপাল্টা
মলয়কুমার দাস বিশ্বাস |
|
|
|
রোদে পুড়ে ঘামাচিতে নাজেহাল বুড়ো বট
চুলকায় বার বার মাথাভরা ঝুরো জট,
আম জাম কাঁঠালের গরমেতে নাভিশ্বাস
জলভরা মেঘ চেয়ে প্রাণ করে হাঁসফাঁস।
সূর্যের খর তেজে মাটি ফেটে চৌচির
হাঁটু জলে টেকা দায় বাটা পোনা ভেটকির,
দেরি নেই বর্ষার হও সবে তৎপর
বুঝেসুঝে বলে দেয় হাওয়াদের দফতর।
এক দিন কালো মেঘ উড়ে এল কোত্থেকে
তাণ্ডব জুড়ে দিল ভয়ানক হেঁকে ডেকে,
তার পর নেমে এল বাঁধ ভাঙা বৃষ্টি
জল পেয়ে তেষ্টাটা মিটল যে সৃষ্টির।
শুরু হল নাচাগানা গাছেদের জলসায়
মাছগুলো আনন্দে শুধু ডিগবাজি খায়,
দল বেঁধে ল্যাজ নাড়ে ঘোলা জলে ব্যাঙাচি
চটপট মরে যায় সারা দেহে ঘামাচি। |
|
কোনটা যে ঠিক আর
কোনটা যে ভুল
ভেবে ভেবে চিন্তায়
টাকে এল চুল।
মনেতে আনন্দ আর
চোখে মুখে খুশি
লজেন্সটা ছেড়ে দিয়ে
নিমপাতা চুষি।
মুখটা মিষ্টি লাগে
খাই টক ঝাল
শরীরে কাঁপুনি আসে
গায়ে দিই শাল।
ডাক্তার দেখে বলে
এক মাস রেস্ট
শরীরটা ঠিক হলে
হবে সব টেস্ট। |
|