|
|
|
|
|
ডবলঅবাক বাকরুদ্ধ, তাই?
এ পারে বিদ্রোহ, ও পারে নিগ্রহ, খবরে কাগজে যাকে বলে জম্পেশ। ডামাডোলে মিস তো হয়ে যেতেই
পারে, কিছু তাক লাগানো খবর। বাঁ দিকে সেই সব আজব নিউজ আর ডানে অদ্ভুত কিন্তু সত্যি ফ্যাক্ট। |
|
গরু ঘাসে মুখ দিয়ে চলে না। প্রমাণ? ফ্রান্স-এর লুনে-ভিয়ে শহরে, তিন জন গরুকে গত চার মাস ধরে ওয়াইন খেতে দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে বার্লি, খড় আর আঙুরের সঙ্গে অল্প ওয়াইন মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, কিন্তু যে এক বার রক্তের স্বাদ পায়, সে কি আর খুচখাচে ছাড়ে? এখন ওদের বরাদ্দ, পাক্কা দেড় লিটার, দিনে। এর ফলে, গরু’রা নাকি প্রবল উল্লাসে দিন কাটাচ্ছে। আর এই সব ‘হ্যাপি কাউ’-দের মাংসও হয়ে উঠছে অকল্পনীয় সুস্বাদু। প্যারিস-এর রইস পাতে পাতে এখন এরাই প্রাধান্য পাচ্ছে। |
|
|
সে কালে তুতানখামেনের দেশে তো আবার পারলৌকিক কাজকর্মের ভারী ঘটা ছিল। তা, প্রিয় ম্যাওটি দেহ রাখলে, তার জন্যও বেশ দ্যাখনদারি শোকপালনের চল ছিল। দুঃখী মিশরীয়টি তৎক্ষণাৎ নিজের ভুরু দু’টি কামিয়ে, তবে বিল্লির জন্য বুক চাপড়াত! |
|
|
সিচুয়ান
থেকে তিব্বত রুটের ম্যারাথন সাইকেল রেস। দলে ছিলেন জিয়াও ইয়ং। এক দিন পথে একটি ভবঘুরে কুকুর দেখে, মায়াবশত হাড় ছুঁড়লেন। ব্যস, কুকুরও তেড়ে ইমোশনাল হয়ে গেল। ইয়ংরা পাহাড় টপকে, নদী ডিঙিয়ে, দিনে প্রায় ৬০ কিলোমিটার রেস দৌড়োলেন সাঁইসাঁইসাঁই, আর কুকুরও ল্যাজ নেড়ে বাঁইবাঁইবাঁই। ওর নামকরণ হল জিয়াও সা। রেস শেষে দেখা গেল জিয়াও সা-ও ২৪ দিনে ১,৭০০ কিলোমিটার দৌড়ল। মানুষ জিয়াও এখন তাকে পুষ্যি নেবার কথা ভাবছেন। |
|
|
• হাতকড়ার
বদলে বই। ব্রাজিলে কয়েদিরা একটা গোটা বই পড়ে ফেললেই, শাস্তির মেয়াদ থেকে চার দিন বিয়োগ। কিছু
জেলে
তো রীতিমত সিলেবাস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। চার হপ্তায় সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান ইত্যাদি মিলিয়ে মোট বারোটা
বই
কণ্ঠস্থ করে ফেলো। আর নো দেখনদারি। কারণ ক’দিন বাদেই সে সব নিয়ে রচনা লিখতে হবে। নির্ভুল
বানান আর ঠিকঠাক বাক্য বানিয়ে লিখতে পারলেই ছুটি। রত্নাকর বলে কে যেন, কী যেন...
• এক
চিনে ভদ্রলোকের যমের বাড়ি যাওয়ার আশু প্রয়োজন হল। গলায় কীটনাশকের বোতল উপুড় করলেন।
কিন্তু, কোথায়
মরণকামড়? এ তো মাত্তর পেট কামড়ানি! তবে রে, হেমলক নিয়ে ইয়ার্কি?
অগ্নিশর্মা হয়ে ভদ্রলোক পুলিশে খবর দিলেন। তদন্ত বলল, হুম্ম্ম্, বিষটা ভেজাল ছিল।
ভদ্রলোক খচিতং, কিন্তু আমরা নাচিতং! চিনের বিকল জিনিসও কাজ দেয় তবে! |
|
|
• নিউ ইয়র্কের দিকটায় গেলে, পাশের লোকটাকে একটু চোখে চোখে রাখবেন। না না পকেটমার কেস না।
ও শহরে নাকি প্রতি বছর প্রায় ১৬০০ মানুষ অন্য লোকের কামড় খান। |
• শামুকের গতি নিয়ে তো চাদ্দিকে হেবি হাসাহাসি, যাকে তাকে গালাগালি। কিন্তু মাইলেজটা আসলে কত, জানেন?
সেটা হল গিয়ে,
প্রতি ঘণ্টায় ০.০০০৩৬২০০৫ মাইল। হ্যালো কী হল, দশমিকের ঠেলায়
মূক হলেন? |
• পিকাসোকে এক বার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তাঁর ছবিগুলোর মধ্যে কোনটি তাঁর
সব চাইতে বেশি পছন্দের? এটা? সেটা? ওটা? ধুস! পরেরটা! নিজেই বললেন... |
• বেটোফেন-এর কফি বালাই ষাট। মানে গুনে গুনে ষাটখানা কফিবিন
দিয়েই নাকি বানাতে হত তাঁর কফি। তাই কি সুরের অমন নেশা? |
• আপনি সিনেমার পর্দায় টয়লেট ফ্লাশ-এর দৃশ্য দেখলে ভুরু কুঁচকান? এ আবার কেমন মনোবৃত্তি? ইয়ে, জানেন কি,
কোন সিনেমা এই দৃশ্যটিকে প্রথম বার পর্দায় দেখিয়েছিল? আলফ্রেড হিচককের সাইকো। খুব ভয় পেলে মাঝেমাঝে শুনেছি... |
• হাঁচতে কিন্তু আসলে বড্ডই আরাম লাগে। তাই না? তাই বুঝি হ্যাঁচ্চো এলে
চোখ দু’খান আপনা থেকে বুজে যাবেই। বলেন কী? ব্যাপারটা খেয়ালই করেননি অ্যাদ্দিন? |
|
|
হরি’র লুট, সিকিম বাম্পার, ছপ্পর ফাড় কে...এক সঙ্গে লন্ডনের রাস্তায়। গড প্রমিস। ‘মিস্টার লাকি’ নামে এক অজানা ভদ্রলোক ঘুরে বেড়াচ্ছেন লন্ডন-এ। পকেটে লাখ লাখ টাকা, পাবে সে-ই, যে হয় অন্যের ভাল করছে, বা যাকে দেখে মনে হয়, অন্যের ভাল করতে পারে। মিস্টার লাকি প্রতি দিন এমন দশ জনকে বেছে ১০০০ পাউন্ড করে হাতে তুলে দিচ্ছেন। আশা একটাই, তা দিয়ে যেন কোথাও কোনও একটা মুখে হাসি ফোটে। বয়স চল্লিশ ছোঁয়নি, কিন্তু এমন অগাধ রোজগার জমে গিয়েছে, যে কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। মহাশূন্যে বেড়াতে যাওয়া বা অন্য এমন আজগুবি প্ল্যান শেষমেষ ছেড়ে, এখন এই লটারি’র দোকান... |
|
|
১৯৮৬,
জাপান। রিউহো ওকাওয়া শুরু করলেন হ্যাপি সায়েন্স, নতুন ধর্মীয় গোষ্ঠী। বললেন, তিনি গৌতম বুদ্ধ’র অবতার এবং অবশ্যই পৃথিবীর সাম্প্রতিকতম রক্ষাকর্তা। তাঁর স্ত্রীও নাকি গ্রিক দেবী আফ্রোদিতে’র অবতার। গত বছর বুদ্ধ-আফ্রোদিতে’র ডিভোর্স-এর পর, ওকাওয়া স্তব্ধ ছিলেন, কিন্তু এখন আবার জেগেছেন। এ বার তিনি জানাচ্ছেন, বিখ্যাত মানুষদের মরণোত্তর ঠিকানা। যেমন ডারউইন রয়েছেন নরকের খুব নিম্ন স্তরে, আর নিটশে? নরকের এক্কেবারে তলানিতে। আরে ওই যে তিনি বলেছিলেন না, ‘গড ইজ ডেড’... এ বার বোঝো ঠেলা! |
|
সংকলন: অনির্বাণ ভট্টাচার্য |
|
|
|
|
|