|
|
|
|
আহা, যদি মাথায় আসত! |
কথার পিঠে কথা। মুখের মতো জবাব। দিতে পারলে ছক্কা, না পারলে...
আর যাঁরা বলে বলে ছয় মারতেন? দু’চারটি নমুনা।
|
• ষাটের দশকের শেষের দিক। পশ্চিম দুনিয়া জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে। প্রতিবাদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অসাম্যের বিরুদ্ধে, স্থিতাবস্থার বিরুদ্ধে। নিউ ইয়র্ক মেট্রোর একটি স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের দেওয়ালে গ্রাফিতির মেলা। এক দিন কেউ এক জন লিখে গেল: যে কোনও নির্দেশকে প্রশ্ন করো। দু’দিন পরে দেখা গেল, তার ঠিক নীচে আর এক জনের লেখা:
কেন?
|
• দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়। প্যারিস তখন হিটলারের দখলে। পাবলো পিকাসো প্যারিস ছেড়ে যাননি। নাতসিরা তাঁকে কমিউনিস্টদের সহমর্মী বলে জানত এবং নানা ভাবে তাঁর হেনস্থা করত। এক দিন তাঁর প্যারিসের ফ্ল্যাটে জার্মান সেনারা তল্লাশি করতে এসেছে। তাদের অফিসার কোথা থেকে একটা ফোটোগ্রাফ টেনে বার করলেন। পিকাসোর বিশ্ববিশ্রুত শিল্পকৃতি ‘গোয়ের্নিকা’র ছবি। ১৯৩৭ সালে স্পেনের সামরিক শাসক ফ্রাঙ্কোর স্যাঙাত জার্মানির পাঠানো বোমারু বিমান স্পেনের গোয়ের্নিকা শহরকে ধ্বংস করেছিল, পিকাসো সেই ধ্বংসের অবিস্মরণীয় ছবি এঁকেছিলেন। ফোটোগ্রাফটির দিকে আঙুল তুলে নাতসি অফিসার প্রশ্ন করলেন, ‘এটা আপনার কাজ?’ পিকাসো এক মুহূর্ত চুপ, তার পর বললেন:
না, আপনাদের।
|
• ১৯৯০। বিশ্বকাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে জার্মানি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে। ইংরেজরা মর্মাহত। দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে একটা বৈঠকে গেছেন বিশিষ্ট পণ্ডিত কেনেথ ক্লার্ক। কথায় কথায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, ‘আমাদের জাতীয় খেলায় জার্মানরা আমাদের হারিয়ে দিল, কী আক্ষেপের কথা!’ থ্যাচার জবাব দিলেন:
আমি এ নিয়ে ততটা বিচলিত নই, আমরা ওদের জাতীয় খেলায় এই শতাব্দীতে ওদের দু’বার হারিয়েছি।
|
• ১৮৯৪ সাল। লন্ডনে ‘আর্মস অ্যান্ড দ্য ম্যান’ নাটকের প্রথম দিনের অভিনয় শেষ হল। যবনিকা আবার উঠল। মঞ্চে এসে দাঁড়ালেন কুশীলবরা। সঙ্গে এলেন নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ’। সমস্ত দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে প্রবল করতালিতে অভিবাদন জানালেন তাঁদের। এক জন ছাড়া। করতালি স্তিমিত হতেই সেই এক জন খুব জোরে আওয়াজ করলেন: ‘বুউউউ! বুউউউ!’ যেখান থেকে আওয়াজটা এল, নাট্যকার সে দিকে তাকালেন, তার পর বললেন:
বন্ধু, আমি আপনার সঙ্গে একমত, কিন্তু গোটা হলের বিরুদ্ধে আমরা মাত্র দু’জন কী করতে পারি বলুন? |
ঋণ: ভিভা লা রেপার্টি, ম্যার্ডি গ্রথ। কলিনস |
|
|
|
|
|