ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালে ৮ ডিসেম্বরের অগ্নিকাণ্ডের সময় থেকেই অসুস্থ সেখানকার অন্যতম ডিরেক্টর রাধেশ্যাম অগ্রবাল। জামিন পাওয়ার পরেও অসুস্থতার জন্য আদালতে হাজিরা দেওয়ার ‘ঝক্কি’ থেকে রেহাই চাইলেন ওই অভিযুক্ত আমরি-কর্তা। শুক্রবার আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দীপ্তেন্দ্রনাথ মিত্রের এজলাসে রাধেশ্যামের তরফে এই আবেদন জানানো হয়। শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৪ অগস্ট।
আমরির অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় রাধেশ্যামকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাই প্রথমে পুলিশি পাহারায় তাঁকে একটি নার্সিংহোমে রাখা হয়েছিল। পরে আদালতের আদেশে রাধেশ্যামকে পাঠানো হয় জেল-হাজতে। তখনও এসএসকেএম হাসপাতালে রাখা হয়েছিল তাঁকে। নির্দিষ্ট তারিখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুল্যান্সে শুইয়েই ওই অভিযুক্তকে আদালতে আনা হত। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করায় তিনি বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু এখনও অসুস্থতার কারণে অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়েই নিয়মিত আলিপুর আদালতে হাজিরা দিতে হয় আমরির ওই প্রবীণ কর্তাকে। শুনানি চলাকালীন আদালত-চত্বরে তিনি অপেক্ষা করেন অ্যাম্বুল্যান্সেই। এবং আদালতও ওই অবস্থাতেই তাঁর হাজিরা নথিভুক্ত করে।
অসুস্থ অবস্থায় বারবার আদালতে উপস্থিত থাকার এই ‘ভোগান্তি’ থেকেই রেহাই চেয়েছেন রাধেশ্যাম। এ দিন তাঁর আইনজীবী যখন আদালতে আবেদন জানাচ্ছিলেন, তখনও এজলাসের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়ে ছিলেন ওই আমরি-কর্তা। আমরির অগ্নিকাণ্ডে ১২ জন ডিরেক্টর-সহ অভিযুক্ত মোট ১৬ জনই এখন জামিনে মুক্ত। সকলেই এ দিন আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
অভিযুক্তদের আইনজীবী সেলিম রহমানের অভিযোগ, সরকার পক্ষ এই মামলার সব নথির প্রতিলিপি এখনও তাঁদের দেয়নি। সেগুলি না-পেলে মামলা লড়তে অসুবিধে হবে তাঁদের। কী কী প্রতিলিপি পাওয়া যায়নি, তা জানিয়ে অভিযুক্তদের তরফে ইতিমধ্যে ১৩টি আবেদন পেশ করা হয়েছে। সেই সব আবেদনেরও শুনানি হবে ২৪ অগস্ট। |