|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
অসংস্কৃত সংস্করণ কেন |
বইপোকা |
বইপাড়ায় এক্ষণে পরস্পর বিপ্রতীপ দুইটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাইতেছে। একটি অতীতের উজ্জ্বল উদ্ধার, আর একটি অতীতকে মুছিয়া ফেলিয়া ক্রমশ সস্তা চটকদারিত্বের দিকে অগ্রসর হওয়া। সুবোধকুমার চক্রবর্তীর সেই বিখ্যাত রম্যাণি বীক্ষ্য (এ মুখার্জি অ্যান্ড কোং, ১৫০.০০) এখন যে নব রূপে বইপাড়ায় সুলভ তাহা রীতিমতো চক্ষুপীড়ার কারণ হইবে। পুরাতন হাতে-আঁকা প্রচ্ছদটি ফেলিয়া বিবিধ দর্শনীয় স্থানের ডিজিট্যাল চিত্র ও কড়া রঙে গ্রন্থনাম লিখিয়া গ্রন্থটিকে ক্রমশ তৃতীয় শ্রেণির ভ্রমণ-সহায়কের পর্যায়ে ফেলা হইয়াছে এই সংস্করণে। গ্রন্থের পাঠেও রহিয়া গিয়াছে বিস্তর প্রমাদ। যে গ্রন্থসম্ভার এখনও বাংলা ভ্রমণ-রচনায় বিশেষ মর্যাদা পাইয়া থাকে তাহার এমত অসংস্কৃত সংস্করণ পীড়াদায়ক। তদুপরি, গ্রন্থটির ভিতরে যে সম্ভাবনা ছিল তাহাকেও নষ্ট করা হইতেছে। এই গ্রন্থমালাকে সুসম্পাদিত রূপে প্রকাশ করিতে পারিলে কাজের কাজ হইবে। তাহার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন পর্যাপ্ত মানচিত্রের। দর্শনীয় স্থানগুলি উপযুক্ত মানচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করিলে তাহা গ্রন্থমালাটির সংগ্রহযোগ্যতায় সহায়ক হইবে। প্রয়োজন টীকারও। লেখক যে কালে ভ্রমণ করিয়াছিলেন তাহার পরে অনেক পরিবর্তন ঘটিয়া গিয়াছে, টীকায় সেই সকলের নির্দেশ থাকা প্রয়োজন। সাধারণ পাঠকের সুবিধার্থে প্রয়োজন সংস্কৃত শ্লোক ও উক্তির বঙ্গানুবাদেরও। প্রকাশক বহুলপঠিত গ্রন্থটির পরবর্তী সংস্করণে বিষয়গুলি ভাবিয়া দেখিবেন, আশা করি। তাহা না হইলে গ্রন্থটি ‘রম্যাণি বীক্ষ্য’ হইবে কী করিয়া? |
|
|
|
|
|