নিঃশব্দে পার হয়ে গেল মুর্শিদাবাদ জেলার আয়ুর্বেদশাস্ত্রের ধন্বন্তরী গঙ্গাধর কবিরাজের জন্মদিন। বাংলার ১২০৫ সালের ২৪ আষাঢ় যশোহরের মাগুরা গ্রামে তাঁর জন্ম। তবে সারাটা জীবন তিনি আয়ুর্বেদশাস্ত্রের সাধনায় কাটিয়েছেন মুর্শিদাবাদের সৈদাবাদে। তাঁর বাসগৃহ সংলগ্ন রাস্তাটির নাম ‘গঙ্গাধর কবিরাজ লেন’ হলেও আমরা মানুষটিকে প্রায় ভুলেই গিয়েছি। তাঁর খ্যাতি এতটাই ছড়িয়েছিল যে, কাশিমবাজারের প্রয়াত মহারাজা কৃষ্ণনাথের বিধবা পত্নী মহারানি স্বর্ণময়ী একবার কঠিন অসুখে পড়লে গঙ্গাধর কবিরাজকে চিকিৎসার ভার দেওয়া হয়েছিল। তাঁর চিকিৎসায় মহারানি সুস্থ হয়ে উঠলে মাসিক বেতনে গঙ্গাধর কবিরাজকে কাশিমবাজার রাজপরিবারের চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়। বিধবা বিবাহের স্বপক্ষে তখন স্বাক্ষর সংগ্রহ চলছিল। রানি স্বর্ণময়ী বিধবা বিবাহের পক্ষে সম্মতি-স্বাক্ষর করলেও তাঁর বেতনভুক চিকিৎসক হয়েও গঙ্গাধর কিন্তু বিদ্যাসাগরের যুক্তির পাল্টা যুক্তি দিয়ে বিধবা বিবাহের বিপক্ষে দু’টি পুস্তিকা প্রকাশ করেন। আয়ুর্বেদশাস্ত্রের উপর তিনি বেশ কয়েকটি বইও লেখেন। তার মধ্যে ‘আগ্নেয় আয়ুর্বেদব্যাখ্যা’ ‘নাড়ি পরীক্ষা’, ‘আরোগ্য স্তোত্র’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্রাচীন এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের জন্য আমরা, মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দারা জন্য গর্ববোধ করতেই পারি।
সাধন দাস, ভৈরবটোল-লবনচোয়া
|
মুর্শিদাবাদ পুরসভার নশিপুর এলাকায় কাঠগোলার বাগানের পর থেকে জিয়াগঞ্জ শহরের দিকে যাওয়ার রাস্তার ধারের প্রত্যেকটি জলকলের মুখ খোলা। ফলে দীর্ঘদিন ধরে খোলা মুখ দিয়ে সব সময় জল পড়ছে। জলের ওই অপচয়ের পরিমান সীমাহীন। পুরসভা ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্তাদের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে এর বিহিত করুন।
ছোটন গোস্বামী, জিয়াগঞ্জ
|
শশধর তর্কচূড়ামণির গুণমুগ্ধ ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। গত ২৩ জুন আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠিতে সায়ন্তন মজুমদার এ কথা লিখেছেন। বস্তুত শশধর তর্কচূড়ামণির সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের দেখা-সাক্ষাৎ হয় বার চারেক। শশধর তর্কচূড়ামণি রামকৃষ্ণকে পরমহংস বলে মানতে চাননি। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পর চূড়ামণি পত্র লিখে তিনি তাঁর মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন এবং ওই বিষয়ে বির্তকও সৃষ্টি হয়েছিল। রামকৃষ্ণদেব লিখেছিলেন, ‘হেজিপেজি লোক লেকচার দিলে কিছু কাজ হয় না। চাপরাশ থাকলে তবে লোক মানবে। ঈশ্বরের আদেশ না থাকলে লোকশিক্ষা হয় না। যে লোকশিক্ষা দেবে তার খুব শক্তি চাই।” রামকৃষ্ণদেবের ওই কথার প্রতিবাদ করেছিলেন শশধর। রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন, “আরও কিছু সাধনভজন কর। তারপর লোকশিক্ষা দাও। কিন্তু শুধু পণ্ডিত নয় একটু বিবেক বৈরাগ্য আছে।” শশধর তর্কচূড়ামণি শুধু শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে ধর্মালোচনা করেননি, বঙ্কিমচন্দ্রের সহায়তায় অ্যালবার্ট হলে হিন্দুধর্ম বিষয়ক কিছু বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তবে তাঁর মতবাদ, বা বক্তৃতা পছন্দ হয়নি বঙ্কিমচন্দ্রের। শশধর তর্কচূড়ামণির জীবনের শেষপর্ব কাটে বহরমপুরের টোলে ধর্মালোচনা ও শাস্ত্রালোচনা করে। তাঁর লেখা যে বইগুলির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সেগুলি হলভবৌষধ, ধর্মব্যাখা, সাধনপ্রদীপ, ভক্তিসুধালহরী, দুর্গোৎসব পঞ্চক, বেদ বিষয়ে ইংরেজি মতের প্রতিবাদ ইত্যাদি। তর্কচূড়ামণি উনিশ শতকের একজন গুরুত্বপূর্ণ মণীষী। অনেকে তাঁকে দ্বিতীয় শঙ্করাচার্য বলে অভিহিত করেন। তবে তিনি তাত্ত্বিকভাবে হিন্দুধমের্র ব্যাখ্যা করেছেন। রামকৃষ্ণদেবের সহজ জীবনবোধ লব্ধ ধর্ম ও দর্শনকে তিনি সহজ ভাবে গ্রহণ করেননি। ‘কোরক শারদসংখ্যা ১৪১৮’-য় পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে ‘চূড়ামণির পত্র’। উৎসাহী পাঠক পড়ে নিতে পারেন।
সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বহরমপুর
|
লছিমন দীর্ঘদিন ধরেই রঘুনাথগঞ্জ শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। জঙ্গিপুর পুরসভার নিষেধাজ্ঞা ও পুলিশি অভিযান সত্ত্বেও ওই দাপাদাপি বন্ধ হয়নি। ওই শহরের চৌহদ্দি জুড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। ফলে ওই ইটভাটা ও লছিমন থেকে বেরিয়ে আসা কালো ধোঁয়ায় শহরের বাতাস বিষে ভরেছে। শহরকে বাঁচাতে একটিও লছিমন যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই।
শান্তনু রায়, রঘুনাথগঞ্জ
|
নদিয়া জেলার নাকাশিপাড়া চক্রের বাগুড়া জিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমি। স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ২১৩, কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকার মোট সংখ্যা ৩। তার মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও একজন সহ শিক্ষককে শিক্ষা সংক্রান্ত ও অন্য সরকারি কাজের জন্য ব্লক অফিস, এসআই অফিস, মিডডে মিল, জনগণনা, ভোটার তালিকা প্রণয়ন-সহ বিভিন্ন কাজে অধিকাংশ দিনই বিদ্যালয়ের বাইরে থাকতে হয়। সেক্ষেত্র একজন শিক্ষকের পক্ষে ২১৩ জন শিশুকে সামলানো ও শিক্ষাদান সম্ভব নয়। তাই সরকারি কর্তাদের কাছে অনুরোধ দ্রুত ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করুন।
দেবাশিস ঘোষ, বাগুণ্ডা
|
ভ্রম সংশোধন
১৪ জুলাই-এর ডাকঘরে আগে প্রকাশিত ‘প্রসঙ্গ গুমানি দেওয়ান’ শিরোনামের চিঠিটি
ফের প্রকাশিত হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। |
|