|
|
|
|
আজ ২১ জুলাই |
এক দিন আগেই উধাও বাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর ও ঘাটাল |
আজ, শনিবার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ-স্মরণ। জেলা থেকে লাখো লাখো লোক বাস বোঝাই করে যাবেন কলকাতায়। তত্ত্বাবধানে থাকবেন শাসকদলের নেতারা। তারই প্রস্তুতিতে শুক্রবার সকাল থেকেই বাস তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরে। বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীদের নামিয়ে বাস আটকে রাখার অভিযোগও উঠেছে। ফলে, শুক্রবার থেকেই দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। আজ, শনিবার দুর্ভোগ চরমে পৌঁছবে বলেই আশঙ্কা। পথে বেরিয়ে বাস-ট্রেকার মিলবে না, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে স্বাভাবিক জনজীবন। |
|
বাসের অপেক্ষায় মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে।—নিজস্ব চিত্র। |
এই আশঙ্কা মানছে অ-বাম বাস মালিক সংগঠন ‘বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ও। সংগঠনের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি ও ঘাটাল মহকুমা সম্পাদক মোহন বাগ বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই বাস আটকে রেখে দেওয়া হয়। ফলে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন রুটে বাস কমতে শুরু করে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই।” কয়েকটি জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ও। তবে এই ধরনের ঘটনা ‘সঙ্গত নয়’ বলেই তাঁর অভিমত। দীনেনবাবুর কথায়, “ক্ষীরপাই, চন্দ্রকোনা রোড ও চন্দ্রকোনায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ এসেছিল। আমরা দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি, এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশকেও জানিয়ছি, কোথাও জোর করে গাড়ি আটকে রাখা হলে যেন ছাড়ানোর ব্যবস্থা করে। তর পরেও কেউ এমন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে, আজ, শনিবার যে জেলার পরিবহণ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়বে তা স্বীকার করে নিয়েছেন দীনেনবাবু। তাঁর কথায়, “আমাদের জেলা থেকে লক্ষাধিক মানুষ সমাবেশে যোগ দেবেন। স্বাভাবিক ভাবেই জেলার পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ জন্য সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জেলা সন্ত্রাসের শিকার। এক দিকে সিপিএম, অন্য দিকে মাওবাদীদুইয়ের চাপে মানুষ বহু কষ্টে দিন কাটিয়েছেন। কত মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এ সবের বিচার চাইতেই তো জমায়েত।” কলকাতায় যে কোনও রাজনৈতিক দলের বড় জমায়েত হলেই ভেঙে পড়ে জেলার পরিবহণ ব্যবস্থা। এ বার তো একদিন আগে থেকেই দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। প্রচুর সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে গিয়ে সমাবেশস্থল ভরাতে তৎপর হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তারই জেরে শুক্রবার সকাল থেকে বাস তুলে নেওয়া শুরু হয়েছে। অনেক জায়গায় জোর করে বাস আটকে রাখা হয়েছে। পরিণামে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও বাস মেলেনি। অনেকেরই গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার চূড়ান্ত দুর্ভোগের আশঙ্কায় রয়েছেন জেলাবাসী। |
|
|
|
|
|