এ রাজ্যে মারুতি-সুইফট-এর আগ্রহী ক্রেতাকে চাবি হাতে পেতে হলে প্রায় দু’মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। সুইফট-ডিজ্যায়ারের ক্ষেত্রে এই সময়টা ছিল মাস তিনেক। মানেসরে মারুতি সুজুকির কারখানায় গোলমালের জেরে সেই অপেক্ষা দীর্ঘতর হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট শিল্পের। উৎসবের মরসুমের মুখে কারখানায় অশান্তির জন্য ব্যবসা হারানোর শঙ্কায় ভুগছেন ডিলাররা। তাঁদের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে মানেসরের কারখানায় সংস্থার উৎপাদন শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা।
সংস্থা শুক্রবার জানিয়েছে, আহত কর্মীদের চিকিৎসা এবং কারখানার ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করাকেই তাঁরা আপাতত গুরুত্ব দিচ্ছেন। গুড়গাঁওয়ে সংস্থার অন্য কারখানায় সুইফট বা ডিজায়্যার তৈরির সম্ভাবনাও খারিজ করে দিয়েছে মারুতি। সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য সেখানে ওই গাড়ি দুটি উৎপাদন করা এখনই সম্ভব নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিলার বলেন, “দু’তিন দিনের মধ্যে উৎপাদন শুরু হলে সমস্যা হবে না। কিন্তু সপ্তাহ খানেক তা বন্ধ থাকলে ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ বা গাড়ি বুক করার পরে তা হাতে পাওয়ার সময় ১৫ দিন আরও বাড়তে পারে।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এ রাজ্যে মাসে গড়ে ৭০০-৮০০ সুইফট ও ডিজ্যায়ার গাড়ি বিক্রি হয়। গুড়গাঁওয়ের কারখানাটি চালু থাকায় মারুতির অন্য গাড়ির ক্ষেত্রে অবশ্য সমস্যা এখনই হবে না বলে ডিলারদের আশা।
অল্টোর পরে সর্বাধিক বিক্রি হওয়া গাড়ি হল সুইফট ও ডিজ্যায়ার। মানেসরেই ওই দুটি গাড়ির সঙ্গে তৈরি হয় এসএক্স৪ এবং এ-স্টার গাড়িও। গত বছরেও তিন বার কারখানায় ধর্মঘটের জন্য ডিলারদের ব্যবসা মার খেয়েছিল। সংস্থা সূত্রের খবর, গত বছর মানেসরের কারখানায় ৮৩ হাজার গাড়ি কম তৈরি হয়েছিল। ফলে প্রায় ৩,২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয় মারুতির।
তাই দ্রুত কারখানা চালু না হলে নতুন চাহিদা মেটানো কী ভাবে সম্ভব হবে তা নিয়ে চিন্তিত ডিলাররা। সে ক্ষেত্রে নতুন বুকিং নেওয়া বন্ধ করা বা গুড়গাঁওয়ের কারখানায় ওই দুটি গাড়ি তৈরির সম্ভাবনাও উঠে আসছে। যদিও সংস্থার মুখপাত্রটি জানান, বুকিং বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। |