রাস্তার ধারে অভুক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন অসুস্থ এক ভবঘুরে। দেখেও-না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছিলেন পথচলতি মানুষজন। দিন পনেরো পরে বৃহস্পতিবার কয়েকজন সমাজসেবীর সহযোগিতায় অবশেষে হাসপাতালে ঠাঁই হল তাঁর। শুরু হয়েছে চিকিৎসাও। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের রেলশহর খড়্গপুরের। ওল্ড সেটলমেন্ট এলাকায় ইন্দা-গোলবাজারগামী রাস্তার ধারে পড়েছিলেন নামগোত্রহীন, অবাঙালি, মুমূর্ষু ওই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার বাড়ি যাওয়ার পথে নজরে আসায় স্থানীয় সমাজসেবী দীপক দাশগুপ্ত উদ্যোগী হয়ে বিভিন্ন জায়গায় খবর দেন। পরে পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্স ওই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গিয়ে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। দীপকবাবু বলেন, “রাস্তার ধারে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রথমে ভেবেছিলাম মারা গিয়েছেন। পরে নড়াচড়া করতে দেখে সেন্ট জন অ্যাম্বুল্যান্সের খড়্গপুর শাখা সম্পাদক অসীম নাথকে ফোন করে জানাই। এরপর পুরসভায় খবর দেওয়া হলে অ্যাম্বুল্যান্স এসে নিয়ে যায়।” এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দিন পনেরো আগে ট্রেনে চেপেই বাইরের কোনও এলাকা থেকে খড়্গপুরের রাস্তায় ঠাঁই নেন অবাঙালি ওই ভবঘুরে। প্রথম-প্রথম লোকজন খাবারও দিয়েছে। অসুস্থতার কারণে অবশ্য গত দু’-তিন দিন খাওয়া-দাওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
|
চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা কেমন, তা জানতে সমীক্ষা চালিয়েছিল বশ অ্যান্ড লম্ব। ‘ব্যারোমিটার অফ গ্লোবাল আই হেলথ’ নামে ওই সমীক্ষাটি করা হয়েছিল ভারত, চিন, জার্মানি, ইতালি, জাপান, রাশিয়া-সহ মোট ১১টি দেশে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চোখের গুরুত্ব নিয়ে কম-বেশি ওয়াকিবহাল প্রায় সকলেই। কিন্তু তা আচরণে প্রকাশ পায় খুব কম। এমনকী শারীরিক অন্যান্য অসুখের উপসর্গও যে ফুটে উঠতে পারে চোখের মাধ্যমে, তাও অনেকে জানেন না। ৪৪% মানুষই মনে করেন, যতক্ষণ তাঁরা চোখে দেখতে পাচ্ছেন, ততক্ষণ চোখ পরীক্ষার দরকার নেই। এই সচেতনতার অভাব দূর করতে বিশেষ কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
|
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবাররামনগর ১ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ব্লক পরিবার সহায়তা সমিতির উদ্যোগে আলোচনা চক্র হল দিঘায়। আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক নন্দলাল মাল, অলোক মিশ্র, অণর্র্ব পট্টনায়ক, সন্ধ্যা প্রামাণিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুহিনকান্তি খাটুয়া। আলোচনাচক্রের আগে সুসজ্জিত ট্যাবলো-সহ স্বাস্থ্য সহায়িকাদের একটি মিছিল দিঘা শহর পরিক্রমা করে।
|
ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে লাভপুর ও বোলপুর ব্লকের কয়েকটি গ্রামে। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে বাড়ছে এই রোগীর সংখ্যা। জরুরি বোলপুর মহকুমা সহ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত শুকুল বলেন, “বিএমওএইচদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আক্রান্ত গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।” গত ১৬ জুলাই থেকে এই রোগ দেখা দিয়েছে। |