দ্বিজেন্দ্রলালের জন্মজয়ন্তী পালন
কৃষ্ণনগর সিটি রেলস্টেশন সংলগ্ন জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি নিঃসঙ্গ স্তম্ভ। নদিয়ারাজের দেওয়ান কার্তিকেয়চন্দ্র রায়ের বাসভবনের প্রবেশ তোরণের ওই দু’টি স্তম্ভই দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মভিটের শেষ স্মারক।
নিজের শহরেই দীর্ঘদিন অবহেলায় এই ভাবেই কাটিয়েছিলেন দ্বিজেন্দ্রলাল। কিন্তু জন্মের সার্ধ শতবর্ষে তাঁকে ঘিরে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। একের পর এক অনুষ্ঠান হবে। তবে তাতে অবহেলার কথা ভুলে যাওয়া যায় না। দ্বিজেন্দ্রলালের জন্মস্থান কৃষ্ণনগরে তাঁর পৈতৃক বাসভবনের ওইটুকুই সম্বল। পিতা স্বনামখ্যাত ইতিহাস লেখক, সুগায়ক কার্তিকেয়চন্দ্র রায়ের যে বাড়িতে ১৮৬৩ সালে দ্বিজেন্দ্রলালের জন্মতার আর কোনও অস্তিত্ব নেই।
পদযাত্রা।—নিজস্ব চিত্র।
সেই বাড়ির কিছু অংশের উপর দিয়ে এখন রেললাইন। বাকি অংশ হস্তান্তরিত। অনেক পরে ১৯৮০ সালে স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে দ্বিজেন্দ্রলাল স্মৃতি রক্ষা সমিতির সহযোগিতায় কবির জন্ম ভিটের জমিতে গড়ে ওঠে দ্বিজেন্দ্র পাঠাগার। এই শহর আর ঋণ স্বীকার করেছে কৃষ্ণনগর কমার্স কলেজের নাম পরিবর্তন করে দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজ করে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে জলঙ্গী নদীর উপরের সেতু বা কালীনারায়ণপুরের রেল সেতুর নামকরণ তাঁর নামেই করা হয়েছে। শহর জুড়ে রয়েছে তাঁর কিছু মূর্তি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও প্রাথমিক স্কুল।
কিন্তু তাঁর গানের যে বিরাট সম্ভার, তা সংরক্ষণের উদ্যোগ কই? তাঁর কিছু নাটক অত্যন্ত বিখ্যাত। সেগুলি এখনও অল্প হলেও পাওয়া যায়। কিন্তু তা ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু নাটক। সেগুলি সহজপ্রাপ্য করা হোক, এমন দাবিও রয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.